জ্বলন্ত প্রশ্ন

রুনা সেনগুপ্ত

অর্জুন,জয় তো তুমি করেছো আমায়,

তোমার নিপুন লক্ষ্যভেদে

আমার বরণমালা গুছিয়ে রেখেছিলাম তোমার বীরত্ব বরণ করবো বলে –

মাতৃআজ্ঞার নামে  সুপ্ত লালসার শিকার হলাম,

তবে আর কিসের স্বয়ংবর সভার মিথ্যা আয়োজন?

মুখে মুখেই নারীর মতের মূল্য ঘোষণা –

নারী বেঁছে নেবে তার জীবনসঙ্গী

বীরত্বের অহংকারে?

অর্জুন, সবটুকু আমার যখন তোমাতেই সমর্পিত,

একবারও ভাবলে না, আমি অন্যতে উচ্ছিষ্ট হবো কিকরে?

মাতৃ আজ্ঞার নামে এ কোন বেশ্যাবৃত্তির সূচনা করলে সেদিন?

আমাকে কে চাইলো, সেটাই বড়ো হোলো,

আমার চাওয়া সবটাই মূল্যহীন?

তবে কেন উঠেছিলে গর্জে –

সূতপুত্র আমাকে বণিতা বলাতে?

নাকি মাতা কুন্তীর সম-কলঙ্কে গাঁথালেন আমাকেও ?

এমন হাজারো প্রশ্নে জ্বলে মরছি আজও।

না চাইতেও যেতে হয়েছে পালাবদলে সাজিয়ে গুছিয়ে শুধু দেহদানে।

কি নিদারুন যন্ত্রনা নিয়ে আমি হাত বদল হয়েছি রাতের পর রাত।

অর্জুন,ধর্মের ধ্বজাধারী তোমরা নাকি –

কোন ধর্মের গ্যারাকলে আমার বাটোয়ারা!

অভিধানে শব্দ আছে সতীন,

সতীন-স্বামীর এ কোন শব্দ স্থাপনা

আছে এমন কোনো শব্দ জানা?

সতীন হলেও তোমাদেরই অজুহাত

সতীন-স্বামীতে তোমরাই বাজিমাত!

মেনে নেয় না সমাজ, দৌপদী এমন হলে

কৃষ্ণপ্রেমে রাধা তাই জ্বলেছিলো নিদারুন কলঙ্ক নিয়ে,

রাধারানীরা তাই আজও এমনই জ্বলে।

………………………………………………………………………………………………….

  •  

  • __________________________________________________________

  •  

  •  

  •  

  • __________________________________________________________

  • _______

  •  

  •  

  •  

  •  

  •  

  •  

  •  

  •   

Loading