ঝড় বয়ে গেল
কলমে – স্বপ্না মজুমদার
পুনে, মহারাষ্ট্র
বাংলায় ঝড়
বয়ে গেল জোরে ভাঙল মানুষের
ঘর দুয়ার,
মাটির সে ঘর, খড়ের ছাউনি
ভেঙে চুরে চুরমার।
শুনি বসে দূরে হয়েছে ক্ষয় ক্ষতি
বেশ কিছু এলাকা জুড়ে,
ভেঙেছে দোকান ভিজেছে জিনিস
ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ষাট হাজার,
কি হবে, কি হবে,, গরীব মানুষ এইটুকু ছিল
সম্বল পুজিঁ তার।
ভেঙেছে কারো চায়ের দোকান
ফিরে গিয়ে করে,,,হায় হায়
দোকান কোথায়, গিয়েছে উড়ে
ভাঙ্গা উনুন আছে পড়ে।
ওদিকে আবার শুকনো মুখে ঘুরছে
কতো মানুষ, ভেঙেছে ঘর, জল থৈ থৈ
হবে কি এবার,তবে।
শোনা যায় শুধু যাবে পাওয়া ত্রাণ
জানা নেই কখন কিভাবে,
সবাই কি পায় পূর্ণ মর্যাদায়, জানা নেই
গরীব মানুষের।
নেতা মন্ত্রীরা আসে
বলে কতো কথা, শান্তনা পায় মনে
এর বেশি, কি হবে
মন বেশি কথা নাহি জানে।
কেউ কেউ আছে গরীব ছোটো চাষী
ঢুকেছে সমুদ্রের নোনা জল চাষের ক্ষেতে
হয়েছে নষ্ট ফসল তার, পড়ছে চোখে
অঝোর ধারায়, আজ জল।
ফুসছিল নদী দেখেই মাঝি বেঁধেছিল কষে
দড়ি দিয়ে, তার ডিঙিখানি,
ঝড়ের শেষে গিয়ে দেখে সে, নেই তার
প্রিয় নাও খানি।
কোথায় গিয়েছে জলের তোড়ে কে দেবে
পথ বলে, হতাস মাঝি,মাথা চাপড়ায়
গেল সব রসাতলে।
কিভাবে এবার চলবে জীবিকা, জানা নেই
মধ্য বয়সে এসে,
জীবন নামলো বুঝি এবার অতলে।
রেমাল এসেছে, তছনছ করেছে
আটকাবার পথ ছিল না কোনো
এমন ঝড় আসে প্রতি বছর, এমনই হাল
হয়, গরীব দিন আনি দিন খাই মানুষের।
সমুদ্রের কাছাকাছি বাস করে ওরা
ওখানেই ওদের জীবন, কেউ মাছ ধরে
কেউ চাষ করে,
কারো কাঁকড়া ধরেই জীবিকা পালন।।