হয়তো তোমারি জন্য
কলমে – আনন্দময়ী চট্টোপাধ্যায়
গ্রাম + পোঃ বন রাধানগর, থানা-বিষ্ণুপুর, জেলা – বাঁকুড়া
হয়তোবা প্রয়োজন ছিল-
না হলে এমন কেন হবে?
এই শেষ বেলা যাবার সময়-
তব নাম হৃদে লেখা হবে।
বসন্তের আগমন শেষ,
চৈত্রের যাত্রা যাবে শুরু,
ঝরা পাতা সাথে ঝরে গেছে-
চাওয়া পাওয়া বুক দুরু দুরু।
তখন কেন যে চলে আসে-
হঠাৎ করেই এক ঝাঁক-
স্বপ্নের খেলাঘর মাঝে-
স্বপ্নীল রেখা আক বাঁক।
বলিরেখা কোকড়ানো ত্বকে,
মরুভূমি মরীচিকা সম-
ছোট ছোট লাল নীল ফুল-
কন্টক বৃক্ষে অনুপম।
সেফুল সুগন্ধ সৌরভ হীন,
কামনা বাসনা নির্লিপ্ত নিরাকার,
যে ফুলের মাঝে আছে শুধু-
যন্ত্রণা আর হাহাকার।
লুকানো থাকবে তাতো হৃদে-
কিন্তু কাটা ফুটে রক্ত ঝরে-
সে রক্তের দাগ চিরস্থায়ী-
গাঁথা রবে অন্তরে অন্তরে।
হয়তোবা তোমারই জন্য-
এই শেষ চাওয়া টুকু ছিল-
লুকিয়ে মনের কোন কোনে-
শেষ ক্ষণে দেখা দিয়ে গেল।।