এক গবেষণা জানাচ্ছে ৫ টাকার পেয়ারা খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে টেনে বের করে। কমিয়ে নিয়ে আসে কোলেস্টেরলের মাত্রা। পরিষ্কার করে রক্তনালী।

কোলেস্টেরল এক গুরুতর অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত হলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে।এই ফলে থাকা ফাইবার এক্ষেত্রে কার্যকরী।

কোলেস্টেরল লেভেল শরীরে বাড়লে বহু রোগ উঁকি মারে। এই পরিস্থিতিতে হার্টের অসুখ হতে পারে, স্ট্রোক হওয়া সম্ভব। এছাড়াও নানা জটিলতা অগোচরে শরীরে বাসা বাধতে পারে। এবার লিপিড কমাতে চাইলে খাবারে কিছু পরিবর্তন দরকার। যেমন রোজ একটা পেয়ারা খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে।

খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে টেনে বের করে ৫ টাকার পেয়ারা, রক্তনালী করবে পরিষ্কার।

প্রশ্ন হতেই পারে যে কোলেস্টেরল কী? উত্তরে বলা যায়, কোলেস্টেরল হল মোম জাতীয় পদার্থ। এই পদার্থ কিছু খাবার থেকে শরীরে তৈরি হয়। এছাড়া লিভারও এই পদার্থ তৈরি করে। এবার এই বিষয়টা প্রথমেই বুঝে নিতে হবে।

আসলে লিপিড বাড়লে বহু রোগ হতে পারে। আমাদের কিছু ভুলই এই কোলেস্টেরল বাড়ার কারণ। এক্ষেত্রে রক্তনালীতে জমতে থাকে এই পদার্থ। সেই পরিস্থিতিতে শরীরে জটিলতা তৈরি হয়। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে রোগীর। এমনকী স্ট্রোক হওয়া সম্ভব। তাই সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করুন।

এখন বহু মানুষের শরীরে কোলেস্টেরল বেশি থাকে। এবার কী ভাবে তাঁরা লিপিড নিয়ন্ত্রণ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, পেয়ারা খেলেও কমতে পারে শরীরের সমস্যা।

আসুন জেনে নেওয়া যাক-পেয়ারা খেলে কোলেস্টেরল কমে।

NCBI রিপোর্ট এই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাঁদের মতে, শীতকালে বাজারে পেয়ারার দাম কমবে অনেকটাই। প্রতিটি মানুষই এই খাবার অনায়াসে কিনে নিতে পারেন। আর তারপর খাওয়া শুরু করে দিন। এই ফল খেলে শরীরে কোলেস্টেরল অনেকটাই কমে। আসলে এই ফল LDL কমায়, এমনকী বাড়িয়ে দেয় HDL. তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই খেতে হবে এই খাবারটি। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে। শরীরে দেখা দেবে বহু অসুখ।

কী ভাবে কোলেস্টেরল কমায় পেয়ারা?

গবেষণাতে এই বিষয়টি সম্পর্কেও খোলাসা করে হয়েছে। আসলে ফাইবার রিচ ডায়েট যেমন ওটস, ফল, সবজি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনই ফল পারে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে। বিশেষত পেয়ারাতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার কিন্তু লিপিড নিয়ন্ত্রণ করে ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেতে হবে। একদিন খেলাম, আর ১০ দিন বন্ধ- এই কৌশলে লাভ মিলবে না। একমাত্র রোজ খেলেই ফলাফল মেলে।

একটি গবেষণায় দেখা যায় যে কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী হল পেয়ারা। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১২ সপ্তাহ ধরে পেয়ারা খেয়েছেন। দেখা গিয়েছে যে টোটাল কোলেস্টেরল প্রায় ৯.৯ শতাংশ, ট্রাইগ্লিসারাইডস ৭.৭ শতাংশ এবং প্রেশার ৯ থেকে ৮ এমএম এইচজি কমছে। এছাড়া ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ছে প্রায় ৮ শতাংশ। ফলে হার্ট সুরক্ষিত থাকছে। বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে দ্রুত গতিতে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।

পেয়ারার গুণ:

পেয়ারার বহু পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই খাবারে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, ক্যারোটিন, লাইকোপেন এবং মিনারেল যেমন ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন থাকে। এর মাধ্যমে ভালো থাকে শরীর। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।

এছাড়া পেয়ারা পাতাও খুবই উপকারী। বহু অসুখে দারুণ কাজ করে এই ফল। এবার দেখা গিয়েছে যে ব্যথা কমানো, প্রদাহ দূর করার মতো ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের পাতার। এবার থেকে এই বিষয়গুলি মনে রাখুন। আর অবশ্যই কোলেস্টেরল দূর করতে চাইলে খান পেয়ারা।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

__________________________________________________________

 

 

 

__________________________________________________________

__________________________________________________________

 

 

 

 

 

 

 

 

  

Loading