ঘোষপাড়ার ভুত

কলমে – মধুমিতা দেব

ঘোষপাড়া আজ সরগরম,

এক,নতুন টপিক নিয়ে,

রাম পালোয়ান পালিয়েছে কাল,

ভুতের তাড়া খেয়ে।

দত্ত গিন্নি বলল এসে,

“আমারও এক হাল,

ভুতের তাড়ায় হারিয়েছে,

আমার হরেক মাল।”

তাই না শুনে পাড়ার সবাই,

ফেলে দিল সারা,

অনেক লোকেই খেয়েছে নাকি,

ভুতের কাছে তাড়া।

নিজের মনের ভুল ভেবে সব,

ছিল করে চুপটি করে,

এই ঘটনায় সবাই যেন,

উঠল নড়ে চড়ে।

ধীরে ধীরে জানা গেলো,

বিচিত্র কাহিনী,

পুকুর পাড়ে,ছাতিম গাছেই,

থাকেন নাকি তিনি।

সন্ধ্যে হলে যায় যদি কেউ,

ছাতিম তলা দিয়ে,

কঙ্কাল এক বেরিয়ে আসে,

রক্তচক্ষু নিয়ে।

খোঁনা গলায়,নাঁকি সুরে,

গায় সে বিকট গান,

সে গান শুনে ধরের মাঝে,

থাকেনা তো প্রাণ।

ভয়ের চোটে,যখন লোকে,

ভিড়মি খেয়ে যায়,

ভুত-বাবাজী গয়না-টাকা,

সব নিয়ে পালায়।।

ঘন্টু-মন্টু দুইটি ক্ষুদে,

ছিল সেই পাড়ায়,

ঘন্টু বলল,”চল না মন্টু,

বের করি উপায়।”

ছাতিম তলায়,দুজন মিলে,

পৌঁছে সন্ধ্যেবেলা,

ব্যাগ ভর্তি জিনিস হাতে,

করল শুরু খেলা।

হঠাৎ করে কঙ্কাল এক,

এল ওদের পাশে,

নাঁকি সুরে,খোঁনা গলায়,

বিকট হাসি হাসে।

বলল,”ওঁরে কাঁল যেঁ আঁমাঁর,

মেঁয়েঁর হঁবেঁ বেঁ,

গঁয়ঁনাঁগাঁটি টাঁকাঁ পঁয়ঁসাঁ,

সঁব আঁমাঁয় দিঁয়েঁ দেঁ।”

ঘন্টু বলে,”ওরে বাবা,

কি হবে রে ভাই।”

মন্টু বলে,বাঁচা আমায়,

ভয়ে মরে যাই।

ভুত বাবাজী,যা আছে সব,

তুমিই নিয়ে নাও,

তার বদলে,আমাদের,

এবার মুক্তি দাও।”

ভুতের মুখে লঙ্কাগুঁড়ো,

ছুড়লো,এই না বলে,

ভুতে চেঁচায়,”ওরে আমার,

মুখ যে গেল জ্বলে।”

ঘন্টু বলে,”ভুতের গান,

শুনেছে সবাই,

এবার ভুতের নাচ দেখে যাও,

এর তো জবাব নাই।”

দেখল এবার,ভুত-নৃত্য,

এসে পাড়ার সবাই,

রাম পালোয়ান বলল,”আরে,

এ তো গুন্ডা কেলোর ভাই!”

পরল ধরা ভুত-বাবাজী,

শান্ত হল পাড়া,

ঘোষ পাড়াতে কেউ তো আর,

খায়না ভুতের তাড়া।

 আবার যদি কোন পাড়ায়,

 শোনো ভুতের গান,

 খবর দিও,ঘন্টু-মন্টু,

 করবে সমাধান।।

 97 total views,  2 views today