ব্রণ হতে পারে সব ধরনের ত্বকেই। ছেলে কিংবা মেয়ে নয়, এমন সমস্যা সবারই হয়। তবে পার্থক্য কেবল কারণ ভেদে। মিল বলতে ওই একটাই; বয়ঃসন্ধি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছেলেদের অ্যান্ড্রোজেন এবং মেয়েদের ইস্ট্রোজেন। বয়ঃসন্ধিতে ছেলেদের বেশি অ্যান্ড্রোজেনের নিঃসরণ ঘটছে, সিবেসিয়াস গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করছে, সিবাম নির্গত হচ্ছে। আর এই সিবামই ব্রণ হওয়ার যে জীবাণু তার খাদ্য। আর এ কারণেই অল্প বয়সী ছেলেদের ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তবে শুধু যে কৈশোরেই ব্রণ হয় এমনটাও নয়, তরুণ বয়সেও হতে পারে।

কেন ব্রণ হয়?

নানা কারণে ছেলেদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়ঃসন্ধিতে ছেলেদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে অনেক সময় ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। তা ছাড়া অনেককেই কাজের তাগিদে সারা দিন বাইরে কাটাতে হয়। রোদের তাপ আর বাইরের ধুলাবালিতে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। যার ইনফুয়েন্সেই ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। ব্রণ সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকেই বেশি দেখা দেয়। অনেকেই আবার বংশপরম্পরায় সমস্যার সম্মুখীন হন। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিনের অভাব, স্ট্রেস, অপর্যাপ্ত ঘুম এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেও ত্বকে ব্রণ হয়।

সমাধান

সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ত্বকের যত্নে উদাসীন। এমন অবহেলা মোটেও উচিত নয় বলে মনে করেন জেন্টস কেয়ারের এক্সপার্টরা। কেননা, ছেলেদের ঘরের বাইরে বেশি সময় থাকতে হয়। ফলে রোদ আর ধুলাবালির অত্যাচারে ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে ও অমসৃণ। তাই তাদের ত্বকের যত্ন না নিলেই নয়। পাশাপাশি ব্রণের সমস্যায় শুধু জেন্টস পারলারে দৌড়ঝাঁপই নয়, প্রয়োজন সঠিক লাইফস্টাইল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের আধিক্যের কারণে সিবেসিয়াস গ্রন্থিতে সিবাম নিঃসৃত হয়। এই সিবাম হলো ব্যাকটেরিয়া। যার বিক্রিয়ায় হরমোনের সৃষ্টি হতে থাকে। এ ছাড়া ব্রণকে আরও বাড়িয়ে তোলে তেল বা তৈলাক্ত জাতীয় প্রসাধন। তাই এ সময় এমন প্রসাধন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তা ছাড়া হাত যতই নিশপিশ করুক, ব্রণ খুঁটবেন না। কেননা, ব্রণের জেদি দাগ একবার হলে সহজে যেতে চায় না।

ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন নিয়মমাফিক জীবন। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখুন। এ জন্য অ্যালকোহলমুক্ত কিনজার ব্যবহার করুন। সাবান একেবারেই নয়। দিন শেষে বাইরে থেকে ফিরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। চেষ্টা করুন দিনে অন্তত দুবার গোসল করার। প্রতিদিন অন্তত চারবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। মুখ ধোয়ার জন্য আয়ুর্বেদিক ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। সময় করে ফেসপ্যাকও ট্রাই করতে পারেন। শুধু ত্বকচর্চাতেই নয়, খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। ব্রণ হলে তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। বেশি বেশি শাকসবজি খান। প্রচুর জলপান করুন। পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

_________________________________________________________________________

 

Loading