” এমন মানুষ কই ”
কলমে – সুমিতা পয়ড়্যা
কল্যাণী, নদীয়া
যেদিন তোমাকে বলেছিলাম ছবিটা পরিবর্তন কর
কর নি;কথা কেটে বেরিয়ে পড়লে ভাসতে
ভাসতে ভাসতে কোথায় পৌঁছালে তা অজানা!
প্রতি কথার উত্তরে ঝাপসা অস্পষ্ট কুয়াশ
কখন শিশির বিন্দু ঘাসকে ভিজিয়ে সজীব রাখে
সৌন্দর্য সবুজ ভরা যৌবন; কিছু উচ্ছ্বাস প্রকাশ
বাতাসে নিনাদিত হয় অভিমানী মনের কথাগুলো
প্রতিটি শব্দ বুক ভার করা এক একটি রেওয়া।
তুমি তা বোঝো নি কোনদিন কখনো।
আসলে বুঝতে হলে জানতে হবে ভীষণ রকম।
আকাশের বিশালতায় মেঘগুলো যেমন ছিঁড়ে ছুটে যায়
তেমনই কথাগুলো ছিন্ন ভিন্ন করে কোথায় যেন হারিয়ে যায়
কে শোনে কার কথা!
কত ঝড় বয়ে যায়;কত বৃষ্টি হয়
বাষ্প হয়ে উড়ে যায় নোনা জলে ধারা,
কত অদেখা অজানা ভয় এসে দাঁড়ায় সম্মুখে!
হারিয়ে ফেলার ভয় ভীষণ রকম যন্ত্রণা দেয় আড়াল থেকে
খোলা বইতে মুখ লুকাতে লুকাতে অতলান্তে ডুবে যায় মন
বুকের বামপাশে চিনচিনে ব্যাথাটা জানান দেয়—আমিও আছি।
দুই ঠোঁটের মাঝে কথাগুলো অব্যক্ত ভালোবাসায় আটকে থাকে
বিষন্নতার রঙ মেখে জীবন জীবনের গান গেয়ে চলে
নিরবে-নিভৃতে-গোপনের কান্না আর্তনাদ করে ওঠে।
হৃদয়ের গভীরে গভীর ক্ষত উন্মুক্ত হয় গভীর অসুখে,
আর তা বুঝবে এমন মানুষ কই! সম্পূর্ণ মানুষ!
ছবিটা আছে, থাকবে অন্য কোনো ভালোবাসার খাঁজে
প্রতিটা মুহূর্ত তোমার আর তোমাকে চাই-এর প্রার্থনা অন্তর-অন্তরযামী জানবে।
কী ভীষণ রকম প্রার্থনা-যা আকাশ বাতাসে অনুরণিত হয়
ঈশ্বর হয়তো বা শুনে ফেলেন; মানুষ শুনতে পায় না।
101 total views, 4 views today