জন্মতিথি অনুসারে জাতকজাতিকার চরিত্র

বহু সম্মান ও পুরষ্কারে ভূষিত, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাপ্তাহিক রাশিফল বিচারের লেখক

আচার্য্য পি.শাস্ত্রী

(স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)

9836738810 / 8697296783

জাতক বা জাতিকা যে তিথিতে জন্মগ্রহণ করে সেই তিথি অনুসারে ভিন্নভিন্ন চরিত্রের হয়। শুক্লপক্ষই হোক বা কৃষ্ণপক্ষ, তিথি অনুযায়ী একই ফল হয়ে থাকে। নীচে তিথি অনুসারে ফলাফল লিপিবদ্ধ হলো। যেহেতু প্রতিপদ শুরু হয় পূর্ণিমা বা অমাবস্যা তিথির পরের দিন থেকে, তাই পূর্ণিমা এবং অমাবস্যা তিথি থেকেই বিচার ফল শুরু করা হলো।

পূর্ণিমা তিথি যে জাতক বা জাতিকা পূর্ণিমা তিথিতে জন্মগ্রহণ করে সে ব্যক্তির দেহের সৌন্দর্য হয় অতি মনোরম। সর্বকাজে তার উ?সাহ উদ্দীপনা প্রচুর পরিমাণে থাকে। তার ভিতরে সর্বদা একটা লক্ষ্মীশ্রী বিরাজ করে। এই তিথির জাতক-জাতিকা কিন্তু অত্যন্ত খাদ্য প্রিয় হয়। তবে যুবতী নরীদের প্রতি এদের দুর্বলতা থাকে।

অমাবস্যা তিথি : এই তিথিতে যে সমস্ত জাতক-জাতিকা জন্মগ্রহণ করে তারা অত্যন্ত পরাক্রমী এবং সাহসী হয়ে থাকে। বহু বিষয়ে জ্ঞান ও ত্যাগ এদের সহজাত। এরা অতি শীঘ্র ক্রোধ প্রকাশ করে। কারো সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে এরা কুণ্ঠা বোধ করে না।

প্রতিপদ তিথি : প্রতিপদ তিথিতে যে সমস্ত জাতক বা জাতিকা জন্মগ্রহণ করে তাদের দেহ সৌন্দর্য সাধারণত সুন্দর হয়। তবে ব্যক্তি হয় অত্যন্ত রাগী প্রকৃতির। নিজস্ব একটা প্রতাপ তাদের মধ্যে সর্বদা কাজ করে। তবে ধনহীন হওয়ার যোগ নির্দেশ করে।

দ্বিতীয়া তিথি : দ্বিতীয়া তিথিতে যাদের জন্ম তারা বলিষ্ট প্রকৃতির হয়। তাদের মন হয় খুবই দয়ালু এবং পরিচ্ছন্ন প্রকৃতির। দান তাদের ধর্ম। শত্রু তাদের কোনোভাবেই পরাস্ত করতে পারে না।

তৃতীয়া তিথি : তৃতীয়া তিথির জাতক বা জাতিকা সত্যবাদী হয়ে থাকে। ধার্মিকভাব সব সময়ে তাদের চরিত্রের বৈশিষ্টতা। দেশের প্রতি সহজাত টান থাকে অর্থাৎ এরা দেশপ্রেমিক। কবিত্ব কখনো কখনো তাদের মধ্যে প্রকাশ পায়। আর্থিক ভাবে বেশ বলিষ্ঠ হয়ে থাকে ও সর্বজন প্রিয়।

চতুর্থী তিথি: চতুর্থী তিথির জাতক অতি অহঙ্কারী হওয়ার নির্দেশ করে। এরা দাতা এবং বন্ধুর প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও নিজেরা অভ্যন্ত ভোগী প্রকৃতির।

পঞ্চমী তিথি : এই তিথিতে যাদের জন্ম তারা সমাজে পণ্ডিত ব্যক্তি বলে পরিচিত। জাতক বা জাতিকার ভিতরে পরের উপকার করার বাসনা থাকে এবং দানশীলতা এদের সহজাত। তবে এরা অত্যন্ত পরাক্রমশালী।

ষষ্ঠী তিথি : এই তিথির জাতক বা জাতিকা খুব সাহসী, বিদ্যা বুদ্ধি প্রখর এবং এদের অগাধ পাণ্ডিত্য থাকে । এই তিথিতে জন্ম হলে এদের আচার ব্যবহারে রাজসদৃশ ব্যবহারগুলি প্রকাশিত হয়।

সপ্তমী তিথি: সপ্তমী তিথিতে যে জাতক বা জাতিকা জন্মগ্রহণ করে তারা ধার্মিক প্রকৃতির হয় এবং ঈশ্বর বিশ্বাসী হয়ে থাকে। তাদের ভিতরে তেজস্বীভাব সর্বদা কাজ করে। এরা বহু গুণের সমাহার ও বিদ্বান।

অষ্টমী তিথি : এই তিথির জাতক বা জাতিকা সত্যবাদী এবং ধর্মের প্রতি অনুরাগী হয়ে থাকে। দান করা এদের চরিত্রের বিশেষ ধর্ম। জীবের প্রতি কৃপা এদের সর্বদা থাকে। তবে জীবনকে ভোগ করা এদের লক্ষ্য থাকে। এই তিথির জাতকেরা কিছুটা নারীপ্রিয় হয়ে থাকে।

নবমী তিথি: নবমী তিথিতে যাদের জন্ম তারা প্রবল ঈশ্বর বিশ্বাসী হয়। এবং ভক্তি ভাব সদা জাগ্রত থাকে। শাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম করতেও পিছপা হয় না। তবে কামনার ভাব কিছুটা বেশী প্রকৃতির হয়।

দশমী তিথি : এই তিথিতে যে সমস্ত জাতক-জাতিকা জন্মায় তারা প্রচুর বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। এরা বহুগুণের অধিকারী হয়। আর্থিক স্বচ্ছলতা এদের মধ্যে থাকে। এদের ভিতরে বন্ধুর প্রতি সহনুভূতি যথেষ্ট থাকে।

একাদশী তিথি: একাদশী তিথির জাতক-জাতিকার ভিতরে সর্বদা

একটা খুশী খুশী ভাব থাকে। এরা ভীষন ঈশ্বর বিশ্বাসী, ধার্মিক এবং খুবই শুদ্ধাচারী, উপার্জন মধ্যম প্রকৃতির।

দ্বাদশী তিথি : এই তিথির জাতক বা জাতিকা মালিকের খুবই অনুগত হয়। অতিথিকে এরা সর্বদা সম্মান জানায় এবং এদের ভালবাসে। তবে এদের ভিতরে মামলা-মোকদ্দমার একটা ঝোঁক খুবই দেখা যায় ফলত অতি ব্যয় এদের জীবনে সহজাত।

ত্রয়োদশী তিথি : এই তিথির জাতক-জাতিকা নিজের মায়ের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল হয় এবং মায়ের প্রিয় হয়ে থাকে। এরা রূপ ও সৌন্দর্য্যের আধার। এদের দেহে রূপ সৌন্দর্য বিরাজ করে। তবে এরা দুর্বল দেহের জন্য কিছুটা অলস প্রকৃতির ও হৃদয় নরম মনোভাবাপন্ন।

চতুর্দশী তিথি : এই তিথির জাতকদের মুখে সর্বদা মিষ্ট বাক্য থাকলেও এরা প্রতারণা করতে পিছপা হয় না। সর্বদা বিরুদ্ধ প্রকৃতির কথা বার্তা বলে। আর্থিক অবস্থা ভাল-মন্দ মিশিয়ে হয়।

 _________________________________________________________

  

 

 

 

 

 

 

 

 

  

Loading