ভালোবাসার ছোট্টো নীড়ে
কলমে ✍️: – কবি বিমল রাণা (কুরকুট)
গ্ৰাম-+পোস্ট–গোহাল ডাঙ্গা, জেলা-পূর্ব সিংভূম, ঝাড়খণ্ড।
একদিন খোলা জানালার পাশে বসে আছি,
একটি কপোতী মুখে খড়কুটো নিয়ে বসলো আমার গা ঘেঁষে।
সম্মতি চাইছে হয়তো আমার, সুখের নীড় বানাবার জন্য নিরাপদ স্থান সন্তানাদির তরে একে অপরকে গভীর ভালো বেসে।
কিছু ক্ষন পর কপোত এলো নিয়ে মুখে খড়কুটো।
জানালায় এদিক ওদিক হতে লাগলো।
আমি বললাম ঘর বানাবি আয় তোদের দেখিয়ে দিই।
পড়ে ছিল একটি ভাঙ্গা বাক্স ঘরের কোনে পরিত্যক্ত অবস্থায়।
টাঙ্গিয়ে দিলাম দেওয়ালে, খুশির অন্ত নেই ফত্ফত্ করে উড়ে এসে বসলো ঐ বাক্সটাতে।
তাদেখে আমি ও খুশির নিশ্বাস নিই।
খড়কুটো বাক্সে রেখে দুজনেই নেমে এলো নিচে আমার পায়ের কাছে।
ঘুঘুর চু ঘুঘুর চু ডাকতে ডাকতে আমাকে কৃতজ্ঞতা জানালো তাদের ভাষায়।
আমাকে ভয় করতো না ওরা, খুব ভালো বাসতাম আমি তাদের।
খাবার খেতে দেখলেই উড়ে এসে বসতো আমার খাবার থালায়।
কপোতী বার বার আমার হাতে ও বাক্সটাতে উড়ে গিয়ে বসতে লাগলো।
বুঝতে পারলাম ওদের বাচ্চাদের দেখার জন্য আমাকে বলছে।
গিয়ে দেখি কী সুন্দর হয়েছে তাদের দুটি ছানা।
কয়েক মাস পর ডিম ফুটে বাচ্চা হয়েছে।
পালক বিহীন নরম তুল তূলে মাংসল পিন্ড।
খুশির জোয়ারে ঘুঘুর চু ডাকে ভরিয়ে রাখতো ঘরের আঙিনা।
আদর করে তুলে নিলাম হাতে, দিল না আমায় তারা বাধা।
দেখলাম নয়ন ভরে কী অপূর্ব প্রেম বন্ধন।
নাহ্ ওরা এখানেই থাক।
পাশাপাশি বসে কপোত কপোতী ,
পরস্পর চঞ্চু স্পর্শ করে শুষে নেয় সুখের অনুভূতি
আমি অপলক দৃষ্টি তে নির্বাক।
………………………………………………………………………………………………………………