আমার যীশু
সঙ্গীতা কর
আমার যীশু ফুটপাতে থাকে জন্ম নিলো যেদিন আস্তাকুঁড়ে
আসেনি কোনো দেবদূত সেদিন মানুষ দিয়েছে ঘৃণা ছুঁড়ে!!
কুমারী মায়ের গর্ভজাত সে, ঔরস কার কেই বা জানে??
রাস্তার পাগলী মা হয়েছে তাই অবাক ভীষণ ভদ্র জনে!!
ভদ্র জন তো আর কেউ নয়, যারা রাতে থাকে কামের বশে
দিনের আলোয় তারাই আবার কত ব্যঙ্গ করে উপহাসে।
মা নামক পাগলিনী তাকে নিয়ে পরে খুবই ফ্যাসাদে
যীশু যে তার খিদের জ্বালায় যখন তখন অঝোরে কাঁদে।
অবুঝ মা বোঝে না কিছুই যীশু ও হয় তাই কষ্টিপাথর
ছোটো থেকেই বুঝে যায় পাবে না পৃথিবীতে কোনো কদর।
লড়াই করে প্রতিনিয়ত বাঁচতে হবে প্রতিকূলতায়
মানুষ যীশু তাই বড় হয় অদৃশ্য যীশুর ভরসায়,
যায় না সে পড়তে স্কুলে ব্যস্ত থাকে শুধুই খেলায়
বাবুদের ছেলেরা তাই দেখে তাকে অনেক অবহেলায়।
যীশু যখন একটু বড়ো জোটাতে চায় পেটের দায়
রাষ্ট্র নেতারা সুযোগ বুঝে তোলাবাজের তকমা পরায়,
বেশ তো যীশু কাজের ছেলে নেই তার কোন পিছুটান
কাঁদবে না কেউ অসময়ে ঝড়ে যদি তার তাজা প্রাণ!!
নেই পরিজন, নেই প্রিয়া যার হবে না কোনোদিন সংসার
নেতারা তো এমন ছেলের হাতেই রাইফেল দেয় উপহার।
অবশেষে তোলাবাজি আর কিছু প্রমাণ ছাড়া খুনের দায়
আমার যীশু ফুটপাত ছেড়ে পাড়ি দেয় জেলের ঠিকানায়!!
ক্রুশবিদ্ধ নাই বা হলো মানব যীশু ও আঁতকে ওঠে যন্ত্রণায়
জেল নামক অন্ধকূপে ই অবশেষে সে প্রাণটি হারায়।
_________________________________________________________________________