কবিতা- “রেমাল”
কলমে ✍️: ঊষা মল্লিক
১১৪/৩/৪, ডায়মন্ড হারবার রোড, বরিষা, উদয়ন পল্লী, কোলকাতা- ৭০০০০৮
……………………..
দিন কয়েক ধরে, তাকে নিয়েই চলছিল, বেশ আলোচনা,
মানুষের মনে জেগে ছিল, অনেক প্রশ্ন, সঙ্গে ছিল অনেক ভাবনা।
আজকাল, আবহাওয়া দপ্তরের খবর, হয় বেশ পাকা,
রবিবার দুপুর থেকেই, রাস্তা ঘাট হয়ে, গিয়েছিল ফাঁকা।
খুব জোরে বইছিল, ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস,
কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল, সুন্দর নীলাকাশ।
টাপুর টুপুর বৃষ্টি দিয়েই, হয়েছিল তার শুরু,
বেলা বাড়তেই বেড়েছিল মেঘের গুড়ু গুড়ু।
অনেক জোরে ঝোড়ো হাওয়ায়, ভেঙ্গে পড়ল গাছ,
সমুদ্রের জলের, উথাল পাতালে, ডাঙায় উঠে এলো মাছ।
রাত যত গভীর হয়, বাড়ে বৃষ্টির ধারা,
চারিদিকে জল জমে, হলো এক সারা।
ভাঙল বাড়ি, ভাঙল বাঁধ, আরও কতো কিছু,
একের পর এক, দমকা হাওয়া, যেন আসছিল পিছু পিছু।
রাস্তা ঘাটে নেই গাড়ী, নেই মানুষের ভীড়,
টিভির পর্দায় চোখ রেখে, মন হয়েছে অস্থির।
কাল থেকে শুরু করে, আজ প্রায় সারাটা দিন,
সবাই যেন, কাটিয়েছে প্রহর, হয়ে নিদ্রা হীন।
আস্তে আস্তে, কমলো তোমার, সেই বিশেষ শক্তি,
সারাদিন ধরে, ভগবানের কাছে, মানুষ করেছে, আকুতি মিনতি।
আমাদের চেনা ছন্দে, আমরা সবাই, আবার যেন ফিরছি,
তোমার বিদায়ে, সবাই আমরা, স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছি।
তুমি হলে “রেমাল”, আরবি ভাষায় বালি,
ওমানের দেওয়া নামে, তুমি যে “ধংসের মহাকালী”।