নিজস্ব প্রতিনিধি – ভারতের এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের ৪২২টি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। শনিবার থেকে মহারাষ্ট্রে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এক জায়গায় ৫ জনের বেশি জড়ো হতে পারবে না। এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে ৫শ টাকা জরিমানা দিতে হবে। বিধিভঙ্গের জন্য, আয়োজকদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।

রাজস্থানে একদিনে ওমিক্রনের ২১টি ঘটনা পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১১ জন জয়পুরের, ৬ জন আজমীরের, ৩ জন উদয়পুরের এবং একজন মহারাষ্ট্রের। এরআগে রাজ্যে ২২টি ওমিক্রন পজিটিভ রোগী ছিল যা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৪৩-এ দাঁড়িয়েছে। রাজস্থান এখন দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ওমিক্রন পজিটিভ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ১০৮টি, দিল্লিতে ৭৯টি এবং গুজরাটে রাজস্থানের সমান ৪৩টি সংক্রমণ প্রকাশ্যে এসেছে।

কেরালায় আরেকটি ওমিক্রনের ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, নতুন রোগী কান্নুরের বাসিন্দা। এভাবে, রাজ্যে ওমিক্রনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ এ পৌঁছেছে।

কর্ণাটকের কোলারে একটি মেডিকেল কলেজে, ৪ দিনে ৩০ জন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সব নমুনা ওমিক্রন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মতে, গত চারদিনে শ্রী দেবরাজ উরস মেডিক্যাল কলেজে ১১৬০ জন শিক্ষার্থীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং সবার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের কারোরই বিদেশ ভ্রমণের কোনো রেকর্ড নেই। সমস্ত নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আসামে রাত সাড়ে ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ, ৩১ ডিসেম্বর রাতে শিথিলতা থাকবে যাতে লোকেরা নতুন বছর উদযাপন করতে পারে। উত্তর প্রদেশে ওমিক্রনের তৃতীয় ঘটনা পাওয়া গেছে। রায়বেরেলিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরা তরুণী সংক্রমিত হয়েছে।

তামিলনাড়ু সরকার বিদেশ থেকে রাজ্যে আসা সমস্ত যাত্রীদের ৭ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লিতে গত ২ দিনে, করোনা নির্দেশিকা লঙ্ঘনকারীদের উপর দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসময়ে, ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।

কেরালার কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ড. টি.এস. অনীশ বলেন, ওমিক্রনের বৈশ্বিক প্রবণতা দেখলে দেখা যাচ্ছে আগামী দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছাবে। একইসময়ে, এই সংখ্যাটি ২ মাসে ১০ লাখে পৌঁছতে পারে। ডাঃ অনীশ বলেন, ভারতে এটি বন্ধ করতে আমাদের কাছে ১ মাসেরও কম সময় বাকি আছে। আমাদের ওমিক্রন সংক্রমণ বন্ধ করা প্রয়োজন।

এদিকে, ওমিক্রনের ক্রমবর্ধমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ১০টি রাজ্যে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে রাজ্যগুলোতে ওমিক্রনের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে বা টিকা দেওয়ার হার কম, সেখানে একটি কেন্দ্রীয় দল মোতায়েন করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম, কর্ণাটক, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং পাঞ্জাব।

Loading