গৃহ শুভ রঙের প্রয়োগে রঙিন জীবন
বাস্তু আচার্য্য দেবযানী
9051039387
ddebjani63@gmail.com
মানব জীবনে বিভিন্ন রঙের একটা প্রভাব রয়েছে। তাই বাসগৃহে রঙের প্রয়োগ অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সূর্যরশ্মি (VIBGYOR) সাতটি রঙের সংমিশ্রণ। এই সাতটি রঙ আমাদের শরীর ও মনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
মানব জীবনের বিভিন্ন রঙের (VIBGYOR) প্রভাব
(১) বেগুনী রঙের প্রভাবে মানব জীবনে আধ্যাত্মিক উন্নতি হয়।
(২) আসমানী রঙের প্রভাব কারোর বেশি থাকলে সে সংগ্রামী ব্যক্তিত্বের হয়।
(৩) নীল রঙের প্রভাব বেশি থাকলে সে কঠোর পরিশ্রমী হয়।
(৪) সবুজ রঙের প্রভাব বেশি থাকা মানুষের ভিতর লক্ষ্য করা যায় খুব কম সময়ে সকলের সাথে পরিচিত হতে পারা। প্রকৃতি প্রেমিক এবং অপরকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করার প্রবণতা।
(৫) হলুদ রঙের প্রভাব যার মধ্যে বেশি থাকে সে সব জায়গায় শ্রেষ্ঠ স্থান দখল করায় আগ্রহী হয়।
(৬) কমলা রঙের প্রভাব কারোর মধ্যে বেশি থাকলে সে সামাজিক হয়, সবাইকে আপন করে নিতে পারে, অনেকের কাছে প্রিয় হয়।
(৭) লাল রঙের প্রভাব বেশি থাকলে মানুষ সাহসী, অনুভূতি প্রবণ, স্পষ্টবাদী হয়।
রাশি অনুসারে ঘরের রঙ ঃ
ঘরে ব্যবহার্য শুভ রঙ –
(১) বসার ঘর – হাল্কা নীল
(২) অধ্যায় কক্ষ – সবুজ
(৩) পূজর ঘর – সাদা, ক্রীম, হাল্কা বাদামী রঙ
(৪) শয়ন কক্ষ – হলুদ, গোলাপী, নীল, বাদামী
(৫) রান্নাঘর – কমলা, হাল্কা হলুদ রঙ
(৬) স্নানাগার – সাদা, হাল্কা নীল, হাল্কা সবুজ রঙ
(৭) খাবার ঘর – হাল্কা সবুজ রঙ
(৮) শিশুর কক্ষ – সাদা, ক্রীম, হলুদ রঙ
অর্থববেদের সংহিতা অংশে বলা হয়েছে মানুষের মনের ওপর চন্দ্রের প্রভাব অপরিসীম, ‘চন্দ্রমা মনসা জাতঃ’। মানুষের মন এতটাই সংবেদনশীল যা বিভিন্ন রঙের সতত পরিবর্তনশীল রঙের আধারে।
১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক অগস্ট প্লিসন্টন আবিষ্কার করেছিলেন, যে রঙের প্রভাব মানুষের শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাস্তুগৃহের সঠিক রঙের ব্যবহার মানুষের মনকে উজ্জীবিত ও শরীরকে কর্মক্ষম করে রাখে।
অযথা টাকা-পয়সা ব্যয় হওয়া থেকে মুক্তির টোটকা
যদি অনেক চেষ্টার পরেও ঘরে টাকা পয়সা না রাখা যায় বা প্রচূর ব্যয় হয়; তাহলে সোমবার বা শনিবার অল্প গমের সাথে ১১টি তুলসিপাতা ও অল্প কেশর মিলিয়ে পিষিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই আটাকে ঘরের ব্যবহার করার জন্য যে আটা থাকে তার সাথে মিলিয়ে ব্যবহার করলেই টাকা পয়সা অযথা ব্যয় হবে না।