নিজস্ব প্রতিনিধি – অবশেষে শিখ তীর্থ যাত্রীদের তাদের পবিত্র মন্দিরে যাওয়ার অনুমতি দিলো ভারত। ২০১৯ সালে শিখদের ধর্মনেতা গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে করিডোর খুললেও গত বছর করোনা মহামারীর কারণে তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়।
কার্তারপুর করিডোর মূলত একটি ভিসাহীন সহজ পথ, যা ভারতীয় শিখদের পাকিস্তানে তাদের পবিত্র মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য। মাত্র ৪ কিলোমিটার পথ পার হলেই পাকিস্তানে সহজেই যাওয়া যায়। করিডোরটি পাকিস্তানের সাথে ভারতের পাঞ্জাবের সাথে সংযুক্ত। এটি মূলত শিখ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান। তবে করিডোরটি দুদেশ থেকে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শিখরা মূলত মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তানের এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক থাকলেও কার্তারপুর করিডোর তারা শান্তি বজায় রাখতে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুঁইটারে জানান, বিপুল সংখ্যক শিখ ধর্মাবলম্বীদের কথা বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী আগামিকাল থেকে কার্তারপুর শাহেব করিডোরটি পুনরায় খুলে দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি সরকারের করিডোর খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত দেশে আবারো শান্তি বয়ে আনবে।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী শুক্রবারে হাজারেরও বেশি শিখ তীর্থযাত্রী তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হলো।
প্রসঙ্গত, এই কার্তারপুর করিডোরে শিখদের ধর্মনেতা গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ টি বছর কাটিয়েছেন। তার সাদা গম্বুজ বিশিষ্ট মন্দিরটি ভারতের সীমান্ত থেকে দেখা যায়। তাছাড়া সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব চলার পর ভারত তাদের ওয়াগাহ সীমান্ত ও খুলে দেবে বলে জানানো হয়।