নিজস্ব প্রতিনিধি – স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর সুস্থ রাখতে দরকার ভালো খাদ্যাভ্যাস আর পর্যাপ্ত ঘুম। এর জন্য সঠিক সময়ে ঘুমানো খুবই জরুরি। অনেকেই কাজ কর্ম শেষ করে বিছানায় যেতে দেরি করে ফেলেন। অনেকে আবার স্মার্টফোন থেকে চোখই যেন সরাতে পারেন না। ফলে অনেক দেরি করেই ঘুমান বহু মানুষ। কিন্তু প্রতি রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর চেয়ে কম ঘুম হলে সকালে ক্লান্তি, সারাদিন আলস্য নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। শুধু তাই নয়, নিজের ইচ্ছা মতো সময়ে ঘুমাতে গেলেই বিপদ!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে একজন মানুষ ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এর ফলে একটি সুন্দর জীবনও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
চিকিৎসকরা বলেন, ঘুম কম হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হাইপারটেনশন ইত্যাদি দেখা দেয়। এর ওপর ঘুমের সময়ের বৈপরীত্যও শরীরকে অনর্থক সঙ্কটে ফেলে দেয়।
যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদ মাধ্যম ঘুম নিয়ে করেছে একটা সমীক্ষা। তারা জানাচ্ছে, ঘুমের পদ্ধতি বদলে সুস্থ থাকা যায়। সেখানে প্রথমেই থাকছে ঘুমের সময় নিয়ে পরামর্শ।
সমীক্ষা বলছে, রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়া উচিত। ‘ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে’ প্রকাশিত এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৮৮ হাজার মানুষ, যাদের গড় বয়স ৪৩ থেকে ৭৯ বছর।
এই সমীক্ষা বলছে, রাত ১০টা-১১টার মধ্যে যারা নিয়মিত ঘুমাতে যান, তাদের চেয়ে যারা রাত ১০টার আগে বা রাত ১১টার পরে সাধারণত যারা ঘুমান তাদের হার্টের সমস্যার প্রবণতা বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গভীর রাতের পরের ঘুমে আমাদের বডি ক্লক বিঘ্নিত হয়। কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য খারাপ হয়। তবে ঘুমের এই সময় নিয়ে আরও গবেষণা জরুরি বলে মনে করেন সমীক্ষার প্রধানরা। তারা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে এ সংক্রান্ত আরও গবেষণা হবে।
143 total views, 6 views today