ত্বকে সুস্থতার দীপ্তি আনতে দরকার ফেসিয়াল। প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে দুই কিংবা তিন দিনই যথেষ্ট। শীতের আগমনী বার্তা শোনা যাচ্ছে, সকালে হালকা গরম অনুভূতি, আর শেষ রাতে ভীষণ ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। এমন আবহাওয়ায় ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতে করতে পারেন ফেসিয়াল।
রূপ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সময়টা যেহেতু শীতের আগের মুহূর্তের। হেমন্তের এমন সময়ে ত্বকে রোদে পোড়াভাব বেড়ে যায়। সঙ্গে ধুলোবালির প্রকোপ তো আছেই! তৈলাক্ত ত্বকে সময়টা খানিকটা ঝামেলার। এ ধরনের ত্বকে প্রয়োজন ভেষজ ফেসিয়াল। এ ছাড়া এমন দিনে সব ধরনের ত্বকের জন্য ফ্রুটস ফেসিয়ালও ভীষণ কার্যকরী।’
এমন দিনে রূপচর্চার উপকরণ হতে পারে চালের গুঁড়ার প্যাক। প্রাচ্যের নারীদের মধ্যে স্ক্রাবার হিসেবে এক সময় চালের গুঁড়ির ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। চালের গুঁড়ায় রয়েছে যথেষ্ট মিনারেল। সানট্যান দূর করা, ত্বক টানটান করে তোলা, চেহারায় ফরসা আভা আনা, অ্যান্টি এজিং ফেস প্যাক হিসেবে এর জুড়ি নেই। ব্রণ এবং ডার্ক সার্কেল কমাতেও চালের গুঁড়া খুবই কার্যকর। দুই টেবিল চামচ চালের মিহি গুঁড়া, এক টেবিল চামচ মধু এবং দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে প্যাকটি তৈরি করতে পারেন। গোলাপজল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে প্যাকটি মিনিট দশেক পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্ক্রাবার হিসেবে কফি ব্যবহার করতে পারেন। তিন চা চামচ কফি, দুই টেবিল চামচ ভিনিগার, দুই চা চামচ সি সল্ট, এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। মুখের পাশাপাশি গলা ও ঘাড়ে লাগাতে পারেন। পাঁচ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মরা কোষ, ধুলো-ময়লা তো দূর হবে। সম্ভব হলে ১৫ দিন অন্তর ফেসিয়াল করবেন। তা না হলে মাসে একবার ফেসিয়াল করতে হবে।
চন্দন গুঁড়ার ফেস স্ক্রাব
চন্দন গুঁড়া, স্যাফরন ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি দাগ-ছোপ, সানট্যান দূর করবে।
আমন্ড ফেস স্ক্রাব
চার-পাঁচটা বাদাম সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট করে নিন। বাদাম পেস্টের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে মুখ ও গলায় লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে রাখে ময়েশ্চারাইজ।
পেঁপের ফেস স্ক্রাব
কয়েক টুকরা পাকা পেঁপের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি মুখে ও গলায় মেখে নিন। ১৫ মিনিট পর জল দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বককে রাখবে ময়েশ্চারাইজ, সঙ্গে ত্বককে করবে তুলতুলে।
