নিজস্ব প্রতিনিধি- শীতলকুচির ঘটনায় আগামী ৫ মে সিআইডি তদন্ত রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শীতলকুচির ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। একটা সিআইএসফের তরফে এবং আর একটি আমজাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনও আপত্তি নেই। তবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে জেলাশাসকের হাত দিয়ে। কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের হাত দিয়ে নয়। এই ব্যাপারে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানালেন, ‘ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে প্রস্তাব রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়েছে সেটা যেন শুধু প্রস্তাবের পর্যায়েই না থাকে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন দ্রুত ক্ষতিপূরণ পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

অন্যদিকে, কোভিড পরিস্থিতিতে পঞ্চম দফার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার নির্দেশ হাইকোর্টের। পাশাপাশি, পঞ্চম দফার নির্বাচনে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কি পদক্ষেপ করা হল, তার উল্লেখ থাকতে হবে রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে আগামী ৫ মে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কোভিড পরিস্থিতি শুধুমাত্র পুলিশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের এই বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী সবাইকেই সচেতন হতে হবে এই বার্তা দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি

Loading