শান্তি রায়চৌধুরী : চার ম্যাচ খেলা হলো ভারতের। জিতলো দুটিতে। পয়েন্ট চার। যদিও এই ম্যাচ জিতে রানরেট অনেক বাড়িয়ে নিয়েছে বিরাট কোহলির দল। পয়েন্টে পিছিয়ে থাকলেও রানরেটের হিসেবে এখন নিউজিল্যান্ডের চেয়েও এগিয়ে ভারত। কোহলিদের রানরেট এখন ১.৬১৯। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের রানরেট ১.২৭৭। কিন্তু মুশকিল হলো, চার ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৪ এবং নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৬। দু’দলেরই ম্যাচ বাকি একটি করে। তাহলে সেমিফাইনালে যাবে কোন দল?
ভারত প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ব্যাকফুটে চলে যায়। না হয়, সেমিফাইনালিস্ট নির্ধারণে হয়তো এত বেগ পেতে হতো না। যদিও আফগানিস্তানকে ৬৬ রানে হারানোর পর আজ স্কটল্যান্ডকে ৮১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে হারিয়ে রানরেট বাড়ানোর কাজটা সেরে রেখেছে বিরাট কোহলিরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের শেষ আটে যাওয়া কিভাবে সম্ভব হবে, সে হিসাব-নিকাশ একটু করে দেখা যাক। বলে রাখা ভাল, আরব আমিরাতে খেলা হলেও টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ কিন্তু ভারত। সুতরাং, উইকেট তৈরির দায়িত্ব আইসিসির সঙ্গে তাদের কাঁধেও রয়েছে। সে হিসেবে ভারতের পক্ষে উইকেটের অ্যাডভান্টেজ নেয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
ভারতের সেমিফাইনালে যেতে হলে, প্রথমত শেষ ম্যাচে জিততেই হবে। যদিও শেষ প্রতিপক্ষের নাম নামিবিয়া। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ। এই দলটির বিপক্ষেও রান রেট বাড়িয়ে জয়ের কাজটি করতে পারবে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং।
তবে এ ক্ষেত্রে ভারতের সামনে একটাই বাধা, আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। নামিবিয়ার সঙ্গে জিতলেও তাদেরকে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতে গেলে কোনো কথা নেই, ভারতের বিদায়। নিউজিল্যান্ড উঠে যাবে সেমিফাইনালে।
কিন্তু যদি আফগানিস্তান জিতে যায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, তাহলে হিসাবটা একটু জটিলই হয়ে যাবে। কারণ, তখন নিউজিল্যান্ড, ভারত এবং আফগানিস্তান- তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৬ করে। সে ক্ষেত্রে রানরেটে এগিয়ে থাকা দলেরই ভাগ্যের সিকে ছিঁড়বে।
এই জায়গায়ও এখনও পর্যন্ত এগিয়ে ভারত। কারণ, আফগানদের রানরেটও ভারতের চেয়ে কম। ১.৪৮১। শেষ ম্যাচে আফগানরা জিতলেও রানরেট যদি বাড়াতে না পারে, তাহলে ভারতকে পেছনে ফেলতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পর গ্রুপ-২ থেকে সেমিতে উঠবে ভারতই। তবে একটি জায়গায় ভারত নিজেদেরকে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে। একে তো তারা শেষ ম্যাচ খেলবে নামিবিয়ার মত দলের বিপক্ষে। তারওপর, আফগান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৭ নভেম্বর। এই ম্যাচের ফল জানার পর সব হিসাব-নিকাশ করেই ৮ নভেম্বর নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে পারবে ভারত। স্বাগতিক হিসেবে সব সুবিধাই নিজেদের পক্ষে করে রেখেছে ভারত।