রত্নধারণ ব্যতীত রোগের প্রতিকার

প্রফেসর ডক্টর কুশল সেন

অধ্যাপক (ফলিত সংখ্যাতত্ত্ব), Astrological Research Institute of Krishnamurti Paddhati (ARIKP)

সদস্য, মার্গদর্শক মন্ডল, ভারতীয় বৈদিক জ্যোতিষ সংস্থানম্‌, বারানসী

e-mail :  kooshoeg@gmail.com

রত্নধারণ ব্যতীত রোগের প্রতিকার

ভারতীয় জীবনচর্চায় আয়ুর্বেদ একদা মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল। বেদ পরবর্তী সময়ে বিশেষ খ্যাতিলাভ করে জ্যোতিষ। গুপ্তবিদ্যায় মানুষের ভাগ্য তো বটেই তার সঙ্গে যুক্ত হল শারীরিক কুশলমঙ্গলাদি। এই বিশ্বসংসার এর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবের অধীন। মানুষের জীবনে বিভিন্ন প্রকার রোগের জন্য কোন গ্রহ দায়ী, সেটা নির্দিষ্ট করা আছে। যখন চিকিৎসা বিজ্ঞান আধুনিক হয়নি, তখনও মানুষ সুস্থভাবে বাঁচতেন, সাধারণভাবে পূজার্চনা, কবচধারণ এবং দানধ্যানের মধ্যে।

রত্নধারণেও রোগমুক্তি ঘটে কিন্তু সঠিক ন্যায্য খাঁটি রত্ন আজকের খুবই মূল্যবান। উপনিষদে ও পতঞ্জলির যোগসূত্রে আবার উপদেশ দেওয়া হয়েছে ব্রহ্মচর্য প্রতিষ্ঠায়াং বীর্যলাভ:’ অর্থাৎ, ব্রহ্মচর্যে প্রতিষ্ঠালাভ করলে বীর্যলাভ হয়, তাই সংযমের মধ্য দিয়ে শরীর গড়ে ওঠে। এছাড়াও গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩৭ শ্লোকে উল্লিখিত রয়েছে- অস্তেয় প্রতিষ্ঠায়াং সর্বরত্ন উপস্থানম্, এখানে শব্দটির অর্থ হল অচৌর্য। অন্যের জিনিস আত্মসাৎ করাকে স্তেয় বা চৌর্য বলে। তাই অন্যের জিনিস পাওয়ার আকাঙ্খা না করাই অচৌর্য।

অর্থাৎ উপরোক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে; প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু চাওয়া বা নেওয়ার ধারণায় প্রতিষ্ঠিত হলে, সকল রত্নই তার কাছে এসে উপস্থিত হয়। এখানে রত্ন বলতে হিরা, মাণিক্য ইত্যাদি মণিমুক্তোকেই বোঝায় না, মানুষের নিজের ভিতরেই জিনিস রয়েছে তাঁকে বলা হয়েছে, এর মধ্যে নীরোগ শরীরকেই সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ রূপে গন্য করা

নবগ্রহের দ্বারা পীড়িত রোগ – সনাতন বৈদিক জ্যোতিষে; নবগ্রহদের মধ্যে প্রতিটি গ্রহ কোন না কোনো মানবদেহের কোন না কোন অঙ্গের কারক। আমাদের সৌরমন্ডলের নবগ্রহের মধ্যে সূর্য-এর বা রবির প্রভাব সবচেয়ে বেশী। সূর্য-এর কীরণ ও মানবদেহের ১২টি অজৈব লবণই জীবনের স্পন্দন। পৃথিবীতে প্রকৃতি, অরণ্য, সমুদ্র সবকিছুই এই সূর্যকিরণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

রবি- মাথা (মস্তক) ও মুখ এর কারক। রবি শক্তিশালী হলে, রোগের প্রকোপ সাধারণত: কম হয়। কিন্তু দুঃস্থানগত রবির জন্য বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়। রবি ক্ষীণদৃষ্টিশক্তি ও রাতকানা রোগের কারক। এছাড়াও হৃদরোগের, জ্বর, শির-পীড়া, পিত্তবিকৃতিজনিত পীড়ার কারক।

রবিগ্রহের প্রতিকার (১) প্রতি রবিবার নিরামিষ খেয়ে সূর্য্যদেবকে অর্ঘ্য দিলে, অনেক রোগ উপশম হয়। সূর্যার্ঘ্য একটি তামার পাত্রে বিশুদ্ধ জল, আতপচাল, দুটি কলা, দুর্বাঘাস অল্প এবং অবশ্যই একটি লাল জবাফুল সূর্য্যকে প্রণাম করে নিম্নলিখিত মন্ত্রচ্চারণ করতে হবে।

জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্ ধন্তারিং সর্বপাপঘ্ন প্রণতোস্মি দিবাকরম।।’

তারপর তামার পাত্রের সামগ্রী একটি গাছের তলায় ঢেলে দিতে হয়। (২) লালচন্দন মিশ্রিত জলে প্রতিদিন স্নান ও প্রতিদিন খালিপেটে আগের দিনের তামার ঘটি ও পাত্রের জল খেলেও রবিগ্রহ জনিত রোগের উপশম হয়।

চন্দ্র মানবশরীরে গলা বুকের কারক। বিরুদ্ধ ও পাপগ্রস্ত চন্দ্র, সর্বদা সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ফুসফুসের কোন রোগ, যক্ষা ও চোখের রোগের কারক। চন্দ্র অনুকূল থাকলে শ্লেষ্মা জাতীয় অসুখ বা হৃদরোগের সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না। বিশেষত: লগ্নসাপেক্ষে ৮ম বা ১২শ স্থানগত চন্দ্র বিশেষ ফলদান করে।

গ্রহের প্রতিকার-(১) যেকোন প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গে ঘিয়ের প্রদীপ সোমবার জ্বালালে (২) সাদাফুলের গাছ সোমবার শুক্লপক্ষে লাগিয়ে শ্রবণা নক্ষত্রে তার পরিচর্যা করলে শুভফল লাভ হয়। বর্ষার জল কাচের বোতলে বাড়ীতে ঈশাণ কোণে রেখে, এমন স্থানে উচিত যেখানে চন্দ্রকিরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে আসে।

মঙ্গল— মানবশরীরে পেট ও পিঠের কারক। বিরুদ্ধ মঙ্গলে পেট ও পিঠের অসুখ হতে পারে। শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগা, হাড় ভাঙা, শিরা ছিড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ও অযথা রক্তপাত, রক্তদূষণ, আগুনে পুড়ে যাওয়া, যেকোন অস্ত্রপচার হতে পারে।

মঙ্গলের প্রতিকার- (১) মঙ্গলবার যেকোন প্রতিষ্ঠিত হনুমান বিগ্রহের কাঁধের সিঁদুর লাগাতে হবে। জাতক-জাতিকাদের দক্ষিণ দিকে (অধিপতি গ্রহ যেহেতু মঙ্গল) লালরঙের কাপড়ে মৌরী বেঁধে মৃগশিরা চিত্রা, ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে ঝোলাতে হবে।

বুধ মানবশরীরে স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণকর্তা। এর দুষ্প্রভাবে মানসিক বিকার খিচুনি, মৃগী, হাঁপানী, বিভিন্ন চর্মরোগ, বাক্যের অস্বচ্ছতা, বুদ্ধিবিভ্রম, বাকশক্তির বৈকল্য ঘটতে পারে। স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে। বুধের প্রতিকার (১) গৃহে কোন খণ্ডিত ও ফাটা বই রাখা অনুচিত এবং সবুজ রঙের চুরি পাঁচটি করে দুইহাতের জন্য মোট ১০টি, বারো বছরের নীচে কোনও বালিকাকে উপহার দিতে হবে। (২) বুধবার বাড়ীতে ঈশাণ কোণে, গাছ লাগিয়ে অশ্লেষা, জ্যেষ্ঠা ও রেবর্তী নক্ষত্রে পরিচর্যা করে, রোজ জল অর্পণ করলে শুভফল হয়।

বৃহস্পতি– মানুষের জীবনে সমস্তরকম শুভত্বের কারক দেবগুরু বৃহস্পতি। মানবদেহে যকৃত ও পরিপাক যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ করে বৃহস্পতি। বৃহস্পতি পাপগ্রহ বিশেষত: রাহু বা কেতু যুক্ত হলে ভীষণ অশুভ ফলদান করে। বিরুদ্ধ বৃহস্পতি হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা, মেদবৃদ্ধির কারক।

বৃহস্পতির প্রতিকার- (১) প্রতি বৃহস্পতিবার অথবা পুনর্বসু, বিশাখা ও পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রে কলাগাছের নীচে গব্যঘৃতের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে হবে। (২) মাথায় সাদা চন্দনের প্রলেপ প্রতি বৃহস্পতিবার লাগাতে হবে (৩) যেকোন মাতৃমন্দিরে বা ধার্মিক স্থানে নি:শুল্ক সেবা করা (৪) প্রতি পূর্ণিমাতে পীড়িত জাতক-জাতিকার নামগোত্র বলে সিন্নি দিতে হবে এবং বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে, প্রতিদিন খালিপেটে বাসিমুখে তিনটি তুলসী পাতা ‘হরিওঁ’ মন্ত্রচ্চারণ করে খেয়ে আধঘন্টা পরে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত।

শুক্র শুক্রগ্রহ মানুষের জননেন্দ্রিয় সংক্রান্ত রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে, বিশেষত মহিলাদের স্ত্রীরোগ ও পুরুষের পৌরুষত্বের অভাব। শুক্র গোপন রোগ, অশুভ শুক্র আবার বৈবাহিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করে।

শুক্রের প্রতিকার (১) যেকোন অন্ধ ভিখারীকে সাদা বস্ত্র ও সাদা মিষ্টি শুক্রবারে দান করলে শুভফল হয়। (২) শুক্রবার অথবা ভরণী, পূর্বফাল্গুনী ও পূর্বষাঢ়া নক্ষত্রে গোদুগ্ধ দ্বারা স্নান করা উচিত।

শনি- মানবদেহে পা কে নিয়ন্ত্রণ করে ও বিশেষত: শরীরের নিম্নাঙ্গের রোগের ক্ষেত্রে শনির বিশেষ ভূমিকা আছে। বাতজাতীয় রোগ, পেশীর দুর্বলতা, অর্শ, হাঁটুতে অসুবিধা, পক্ষাঘাত, শিরা-উপশিরা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয় শনির দুষ্প্রভাবে।

শনির প্রতিকার (১) প্রতি শনিবার অশ্বত্থ বৃক্ষে কালো তিলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে, বৃক্ষটিকে ১১ বার প্রদক্ষিণ করা উচিত ঘড়ির কাঁটার দিকে। (২) কোন নিঃসম্বল ভিখারীকে কালো ছাতি বা লোহার বাসন দান করতে হবে। শনিবারে অথবা পুষ্যা, অনুরাধা ও উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্রে।

রাহু রাহুর বিরুদ্ধতায় দত্তরোগ, বায়ুবিকার, দেহবেদনা, মানসিক বিকার, চর্মরোগ হয়। বৃহস্পতি, শনি, রাহু ও জলরাশির সংযোগে ক্যানসার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।

রাহুর প্রতিকার (১) বুধবারে অসহায় ৩/৫ জন ভিখারীকে পাঁঠার মাংস ও লুচি খাওয়াতে হবে (২) শনি ও বুধবার বাড়ীর ঈশাণ কোণে চারমুখী মাটির প্রদীপে কালো তিল ও তিলের তেলের প্রদীপ প্রজ্বলন করতে হবে সূর্যাস্তের পরে।

কেতু কেতু সর্বদাই গুপ্তরোগের কারক ও এমন রোগের সৃষ্টি করে যার জন্য চিকিৎসাবিভ্রাট (No proper diagonosis) হয়। কেতু ফুসফুসের রোগ, জীবজন্তুর দ্বারা সৃষ্ট রোগ, চর্ম রোগ, দংশক প্রাণীর আক্রমণ হেতু শারীরিক কষ্টভোগ করায়।

কেতুর প্রতিকার (১) অন্ধ বা বিকলাঙ্গ ভিখারীকে বৃহস্পতিবার বা অশ্বিনী, মঘা, মূলা নক্ষত্রে আয়না, ধূসর রঙের কম্বল দান করা উচিত। এছাড়াও উপরোক্ত নক্ষত্রে বা বৃহস্পতিবারে চিড়া বা কালো তিল দান করলেও সুফল পাওয়া যায়। • রোগের ভোগান্তি সম্পর্কে কয়েকটি জ্ঞাতব্য তথ্য—

(১) প্রতিটি গ্রহের সম্পর্কিত রোগ ভোগান্তির নির্দ্দিষ্ট সময় আছে— যেমন, শনির ১ বছর, রবির ৬মাস, বুধ ২ মাস, বৃহস্পতির ১ মাস, শুক্রের ১৫ দিন, মঙ্গলের ১ দিন, চন্দ্র ১ মুহূর্ত বা ৪৮ মিনিট। এভাবে যে গ্রহের গোচরকালীন মূল প্রভাবে রোগ উৎপন্ন হবে, তার দ্বারা স্বল্প না দীর্ঘকালীন ভোগান্তি তা নির্ণয় করা যায়।

(২) যেকোন রোগের ক্ষেত্রেই, অষ্টম চান্দ্রদিবসে রোগারোগ্য হয় (অর্থাৎ রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে অষ্টম চান্দ্র দিবসে) ও শারীরিক গ্লানি দূর হয় কারণ ঐ দিন চন্দ্র ও সূর্য্য (রবি) ৯০° ডিগ্রী দূরত্বে থেকে উভয়ের আকর্ষণদ্রাবতা কমিয়ে দেয়। ঐ দিন মানুষের শরীরের রক্তপ্রবাহ চন্দ্র সূর্য্যকিরণের আকর্ষণের বাইরে থাকে এবং ঐ দিন অস্ত্রপচার করলে বা চিকিৎসার দিন ধার্য হলে রোগীর রোগমুক্তি হতে পারে।

(৩) চর্মরোগ, মৃগী উম্মাদনা প্রভৃতি রোগ অমাবস্যাতে বৃদ্ধি পায় কারণ রবি চন্দ্র যখন ০° এর সংযোগে অবস্থান করে তখন সমুদ্রে প্রবল তরঙ্গ ওঠে, জলোচ্ছ্বাস •আসে, বায়ুমন্ডলে অধিক গ্যাসের সৃষ্টি ও সমগ্র প্রকৃতিকে প্রভাবিত করে। সে জৈবলবণকণা গুলির মধ্যে একটি ঊর্ধ্বগামী প্রেরণা আসে।

(৪) মহর্ষি পরাশরের মতানুসারে, জাতক-জাতিকার লগ্ন ও অষ্টমভাবের মধ্যে যেভাব বলবান তার অধিপতি গ্রহের মহাদশা ও নির্বল এর অধিপতি গ্রহের অন্তর্দশাতে তার মৃত্যু হয়। আবার প্রশ্নশাস্ত্রের সূত্রানুসারে পৃথুযশো বলেছিলেন প্রশ্নলগ্নের ২য় বা ৭ম বা ১২শ ভাবে পাপগ্রহ এবং একই সঙ্গে চন্দ্র, লগ্নভাব বা ৬ষ্ঠ বা ৮ম অথবা চন্দ্রপাপগ্রহ যুক্ত থাকলে ব্যক্তির মৃত্যু আসন্ন।

(৫) জাতক-জাতিকার প্রত্যস্ত দশাধিপতি বক্রী অবস্থানে থাকলে, কোন অপারেশন এর সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভাল, এমন অবস্থায় কোন অপারেশন সফল। হয়না, এবং অল্প সময়ের মধ্যে পুরানো শারীরিক অসুবিধা আবার দেখা যায়। অপারেশন এর আগে, যদি মঙ্গল বক্ৰী অবস্থায় থাকে তাহলে মঙ্গলবারে অপারেশন। এর সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়।

কয়েকটি সহজ প্রতিকারে রোগ উপশম— সূক্ষ্ম জ্যোতিষ বিচারের দ্বারা জাতক-জাতিকার জন্মকুন্ডলী বিচারে, আগাম রোগ বিষয়ে তাকে সম্ভাব্য সতর্ক করা যায় একথা সত্যি। রোগের উপশমে কয়েকটি তাৎক্ষণিক প্রতিকার নীচে উল্লেখ করা হল—

(১) মৃতপ্রায় রোগীর আরোগ্য কামনায় কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি থেকে শুরু করে ১৩টি মাটির প্রদীপ কালো তিল ও তিলের তেল দিয়ে জ্বালিয়ে; যেকোন মাকালী মন্দিরে ব্যক্তির নামগোত্র সহকারে জাতক-জাতিকার রক্তসম্পর্কিত কেউ আত্মীয়-পরিজন বা শুভাকাঙ্খী জ্বালালে আরোগ্য লাভ বা মৃত্যুতুল্য কষ্ট থেকে মুক্তি/শীঘ্র মৃত্যুলাভ করবে।

(২) শারদ পূর্ণিমার রাত্রে চালের পায়েস মালক্ষ্মীকে অর্পণ করে তারপর বাড়ীর ছাদে জ্যোৎস্নালোকে রাত্রিভর রেখে দিয়ে; পরদিন সকালে তা কোন কঠিন রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে খাওয়ালে অমৃত ভক্ষণ এর সমান কাজ দেয়।

(৩) যেকোন মৃত্যুযোগ বা দুর্ঘটনা এড়াতে তিনটি শনিবার/তিনটি মঙ্গলবার যেকোন প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দিরে লাল সিদুরের প্যাকেট (১টি), লালফুল (৮টি বা ৯টি), সরিষার তেলের প্রদীপ (১টি) জ্বালিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম ও গোত্র বলে তার আরোগ্যকামনা করলে অনেকাংশেই শুভ ফল লাভ হয়।

উপরোক্ত নিবন্ধটি প্রফেসর ডঃ কুশল সেন-এর ‘অব্যর্থ জ্যোতিষ সিদ্ধান্ত’-গ্রন্থ থেকে গৃহীত। বইটির প্রাপ্তিস্থান ঃ-

১। কমলা বুক স্টল, ৯/১এ, রমানাথ মজুমদার স্ট্রীট, কলকাতা-৯, কলেজ স্ট্রীট

২। পতিত পাবন বুক স্টল, শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট, কলকাতা – ৭০০ ০০৯, ফোন-9433119599

৩। সংস্কৃত পুস্তক ভান্ডার, ৩৮বি, বিধান সরণী, কলকাতা – ৬, ফোন। (033) 22411208

৪। মহেশ লাইব্রেরী, ২বি শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট, কলকাতা – ৯, ফোন-(033)22417479

৫। স্নেহা জেমস্‌ হাউস, ২/৩৬, দমদম রোড, কলকাতা – ৭৪, ফোন – 9874694720

Loading