নিজস্ব প্রতিনিধি- যত সময় যাবে ততই আরও খারাপ হবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে, যে অচিরেই দুই দেশের মধ্যে টেনশন আরও বাড়তে পারে। এমনই আশঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাদের। মার্কিন রিপোর্টের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে আগের থেকে পাকিস্তানি উসকানিতে সাড়া দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ভারতের। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের ওই রিপোর্ট অনুসারে, একেবারে সম্মুখ সমরে হয়তো মুখোমুখি হবে না দুই দেশ। কিন্তু তাদের পারস্পরিক টেনশন ক্রমেই বাড়বে, যার জেরে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সংখ্যা আরও বাড়বে।

প্রসঙ্গত, প্রতি চার বছর অন্তর মার্কিন প্রশাসনের ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল’ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই রিপোর্টে সারা পৃথিবীতে কোন কোন দেশের মধ্যে টেনশন আরও বাড়তে পারে সে সম্পর্কে জানানো হয়। এবারের রিপোর্টে আফগানিস্তান, ইরাক এবং সিরিয়ার প্রসঙ্গও রয়েছে। তবে আলাদা করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা টেনশনের বিষয়ে। সেখানে পরিষ্কার দাবি করা হয়েছে, মোদির আমলে পাকিস্তান উসকানিতে ভারতের সাড়া দেওয়ার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। ২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। ভারতের ওই পদক্ষেপের পর থেকেই নতুন করে অবনতি হতে থাকে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে। সেই থেকে দুই দেশের কোনওটিতেই অপর দেশের রাষ্ট্রদূত নেই। ভারত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না পাকিস্তান সীমান্তরেখায় নিয়মিত জঙ্গি হামলা চালানো বন্ধ করছে ততদিন তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হতেই পারে না।

এদিকে সাম্প্রতিক অতীতে পাকিস্তানকে আরও বেশি করে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে। ভারতও তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। সেই সঙ্গে বারবার ভারতে অনুপ্রবেশ করা ও কাশ্মীর অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে নিয়মিত মদত দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে।

Loading