ভুত যখন বন্ধু

কবি  সমীরণ সরকার

ব্যারাকপুর, ৮৯৮১২৯১৬০৪

 

শেষ অংশ।

 চোখ অন্ধকার হয়ে আসছিল নেশার ঘোড় কেটে গেছে

কি করবে ঠিক করতে পারছিল না আর কাছাকাছি কেউ নেই শীতের রাত চেঁচালে কেউ শুনতে পারবে না ঈশ্বরকে স্মরণ করে মনে সাহস নিয়ে আবার লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো। মনের ভেতর নানা রকম প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল ভয় ও ছিল অন্তরে।

এবার সামনে এলো সেই ভয়ংকর দৃশ্য যে না দেখবে বিশ্বাস করানো যাবে না, আজও সেই দৃশ্যগুলো মনে পড়ে যায়। মুখ ঢাকা লেপটা টেনে নিচ্ছে পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে কম্পন শুরু হয়ে যায় ঠান্ডার দিনে ঘেমে জল হয়ে যাচ্ছিল মুখ দিয়ে কোন কথা বেরচ্ছিল না। পায়ের দিকে টুলে বসে পঁচিশ ছাব্বিশ বছরে এক সুন্দর যুবক লেপটা টানছি দাঁত বের করে হি হি করে হেসে চলেছে।

মনে হচ্ছিল ঘরটা ভেঙে পড়ে যাবে। ভয়তে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল ভোর হতে চলেছে নামাজ শুরু হল অট্টহাসি তার চেহারা হারিয়ে গেল ভোরের আলো দেখা দিল তখনও শরীরে মৃদু কম্পন ছিল ধীরে ধীরে ঘরের বাইরে বেরোলো কিছুটা দূরে প্রতিবেশীর বাড়ি তে গিয়ে ঘটনাগুলো শোনান। প্রতিবেশীরা জানতো কোনদিন জানায়নি। ভয় পাবে বলে ভূপালের সব কথা শুনে আসল রহস্যের কথা জানানো যে জায়গায় আপনি বাড়ি করেছেন এটা একটা বাগান ছিল জঙ্গলে ভর্তি ওই বাগানে আম গাছ ছিল। এক মুসলিম যুবক ফাঁসি দিয়ে মরেছিল তারই আত্মা আপনার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। গোপাল বাবু সব শুনে বুঝলো ভালো বন্ধু হয়ে ছিল তার জন্য কোন ক্ষতি করেনি।

বর্তমানে অনেক বাড়িঘর হয়ে গেছে বসবাসকারী বেড়ে গেছে বন্ধু আত্মার ছায়া পর্যন্ত দেখা যায়নি। ভূপাল বাবু এখন পরিবার সন্তান নিয়ে বসবাস করছে।

অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না তবে অশরীরী আত্মার কাহিনী আছে এবং থাকবে।

 

__________________________________________________________

 

 

 

__________________________________________________________

_______

 

 

 

 

 

 

 

  

Loading