নিজস্ব প্রতিনিধি- বিজেপি যেখানে গেড়ে যাবে বুঝতে পারছে সেখানেই ইভিএম বদল করতে চেষ্টা করছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে তুললেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা ও বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার বিদেশ মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। তিনি বর্তমানে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে তৃণমূল। এদিন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজাও এই সাংবাদিক সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন। যশবন্ত সিনহা বলেন, “বিজেপি যেখানে বুঝছে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা যেখানেই ইভিএম বদল করছে।যে ইভিএম-এ বিজেপি-র ভোট কম সেটা বদলে যে ইভিএম-এ ভোট বেশি সেটাকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসছে। অসমের ঘটনা তার প্রমাণ।” প্রসঙ্গত শুক্রবার তৃণমূল নেতা ও সাংসদ সৌগত রায় তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে সহযোগিতা করছে। আর পুরো কাজটা হচ্ছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে।” শনিবার শশী পাঁজর কথায় সেই কথারই সুর শোনা গেলো। শশী পাঁজা এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “অসাধু উপায়ে ইভিএম বদলের ঘটনা আমরা অসমে দেখলাম। বাংলায় চেষ্টা করছে কিনা জানি না। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমাদের কর্মীরা যেন ইভিএম চোখে চোখে রাখেন। আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি নন্দীগ্রামে দিদি ভালোভাবে জিতবেন। বিজেপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে গেছে বলেই এখন বলছে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারছেন।” নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হবেন বলে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শেষ যখন প্রচার চালাচ্ছেন ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছি, নন্দীগ্রামেই জিতবো, আর তোমাদের মুখে চুনকালি ফেলবো।” পাশাপাশি তৃণমূল দলের পক্ষ থেকেও একইভাবে দাবি করা হচ্ছে, “নন্দীগ্রামে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো ভাবে জিতে যাচ্ছেন।” নন্দীগ্রাম সব সময়ই আলোচনায় প্রথম। তাই নির্বাচনে আর নন্দীগ্রাম পিছিয়ে যায় কি ভাবে? যেখানে নন্দীগ্রামে একদিকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী আর অন্যদিকে বিজেপি-র প্রার্থী তাঁরই এক সময়ের সহযোগী

শুভেন্দু অধিকারী।

সূএ:কলকাতা২৪×৭

Loading