নিজস্ব প্রতিনিধি  – ২০ মে, ১০ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই তারিখেই শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর সরকারের ১০ বছর পূর্তির দিনে বৃহস্পতিবার রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রী I টুইটারে মমতা লিখেছেন, ‘১০ বছর আগে এই দিনেই প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবা করার পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন পথে যাত্রা শুরু করেছি। আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য মা-মাটি-মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বাংলাকে উচ্চতর অবস্থানে পৌঁছে দেব’। একুশে বিরাট জয় পেয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। গত দু’বারের থেকে এবারের আসন সংখ্যা তাদের অনেক বেশি। ২০১১ সালে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের সরকারকে সরিয়ে ১৮৪ আসন পেয়েছিল তৃণমূল। এরপর ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের আসন ও ভোট শতাংশ দুই-ই বৃদ্ধি পেয়েছিল। বাম-কংগ্রেস জোট গড়ে লড়লেও তৃণমূল সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে বিপুল জয় পেয়েছি। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২১১টি। আর ভোট শতাংশ বেড়ে হয়ছিল ৪৪.৯১ শতাংশ। এবার আরও বেশি মানুষের সমর্থন নিয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১৩টি আসন পেয়েছে তাঁর দল। যা মোট ভোটের মোট ভোটের ৪৭.৯ শতাংশ।

এদিনই আবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা  পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠকের পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘‘বৈঠক ডেকে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেই কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। শুধু নিজের কথা বলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । তাহলে শুধু-শুধু কেন বৈঠক ডাকলেন? মুখ্যমন্ত্রীদের অপমান করা হয়েছে। খুব খারাপ লেগেছে।’’ উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবও।

Loading