নিজস্ব প্রতিনিধি- একুশের নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা থেকে দলের অনেক বিধায়ককেই বাদ দিতে পারে তৃণমূল। তাঁদের মধ্যে বর্ষীয়ান ও অসুস্থ বিধায়কদেরই বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ঘাসফুলের অন্দরে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নয়া ক্ষোভ দানা বাঁধছে৷

শোনা যাচ্ছে, এ বার অনেক নতুন মুখের উপর আস্থা রাখতে চলেছে দল। তৃণমূল নজর দিয়েছে মহিলা, যুবা ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির দিকে। দলের কর্মসূচি আয়োজনে তৎপরতা ও জনসংযোগের দক্ষতাও বিবেচনা করা হচ্ছে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে যাঁরা বাদ যেতে পারেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী, হাওড়া দক্ষিণের বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার ও বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নস্কর। এঁদের প্রত্যেকের বয়স আশির ঊর্ধ্বে। তাই নেতৃত্ব মনে করছে, এমন প্রবীণ বিধায়কদের বিশ্রাম দিয়ে, তুলনামূলক ভাবে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হোক।

মঙ্গলবার শিবপুরের পাঁচবারের নির্বাচিত বিধায়ক জটু লাহিড়ি বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা৷ এব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই৷ ব্রজমোহন মজুমদারের ছেলে আলয় মজুমদার বলেছেন, এব্যাপারে বাবার কিছু বলার নেই৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরাসরি কিছু না বললেও দলের সিদ্ধান্তে মনক্ষুন্ন হয়েছে তৃণমূলের এই প্রবীন বিধায়কদের৷ এপ্রসঙ্গে সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেল, এটা ওদের দলের নিজস্ব ব্যাপার৷ তবে রাজনীতিতে রাজনৈতিক জগতের লোকেদেরই থাকা উচিত৷

এদিকে, জটু লাহিড়িকে যখন টিকিট দেওয়া হবে না শোনা যাচ্ছে তখন তাঁর সমর্থনে কদিন আগেই দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। দেওয়াল লিখনে “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শিবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জটু লাহিড়ীকে ঘাসের উপর জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিন”, এমনটাই লেখা। রয়েছে ঘাসফুল প্রতীক। দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণার আগেই এভাবে একতরফাভাবে জটু লাহিড়ীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন নিয়ে কার্যতই দলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে। এমনকি সাংবাদিক বৈঠকে জটু লাহিড়ী বলেছেন, “আমি নিশ্চিতভাবে জানি বিধায়ক হিসেবে আমি আবার আসব।” উল্লেখ্য, কদিন আগেই দলের ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের প্রার্থী তালিকায় রূপোলি জগতের নাম থাকবে। প্রার্থী হতে পারেন, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, সুদেষ্ণা রায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিকের মতো জনপ্রিয় টলি ও টেলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ভোটের মুখে এই টলি তারকাদের রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে প্রার্থী হওয়াকে কটাক্ষ করেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য৷ তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচনে হেরে গেলেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন তো?

সূত্র : কলকাতা 24×7

Loading