নিজস্ব প্রতিনিধি – ২০১৯ সালে ভারতের হায়দরাবাদে ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা। ২৬ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা ভারত। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি ওঠে। প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন তারকারাও। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বলিউড ও দক্ষিণী অভিনেতারা।

সেই ঘটনার জের ধরে মামলা দায়ের হল ২০২১ সালে। সলমন খান, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন-সহ মোট ৩৮ জন তারকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন দিল্লির আইনজীবী গৌরব গুলাটি। তাঁর অভিযোগ, ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গণধর্ষিতার পরিচয় জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে হায়দরাবাদের গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটিকে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে সালমন খান টুইটারে লেখেন, ‘এরা মানুষের বেশে শয়তান।’ অক্ষয় কুমার লেখেন, ‘ধর্ষণ বন্ধ করতে অতি অবশ্যই কঠোর আইন আনা উচিত।’ অজয় দেবগন, ফারহান আখতার, রাকুলপ্রীত সিং, দক্ষিণী তারকা আল্লু শিরিষ, রবি তেজা, চার্মি কৌরসহ অনেকেই ধর্ষিতার নাম প্রকাশ্যে এনে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাতেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন দিল্লির আইনজীবী গৌতম গুলাটি।

দিল্লির সাবজি মাণ্ডি থানায় অক্ষয়, সালমন-সহ মোট ৩৮ তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন গৌতম। পাশাপাশি আদালতে পিটিশনও দাখিল করেছেন তিনি। গৌতমের অভিযোগ, তারকাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ থাকা উচিত ছিল। এভাবে একজন গণধর্ষিতার নাম প্রকাশ্যে লেখা তাঁদের উচিত হয়নি। ক্ষোভ, সমবেদনা প্রকাশ কিংবা প্রতিবাদ করার অনেক উপায় রয়েছে। এভাবে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে লেখা যায় না। এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য অভিযুক্ত তারকাদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন দিল্লির ওই আইনজীবী।

Loading