নিজস্ব প্রতিনিধি – নীল গ্রহের দিকে ছুটে আসছে সৌরঝড়। ক্ষয়ক্ষতি কতটা ব্যাপক হবে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা করতে পারছেন না খোদ বিজ্ঞানীরাই। এর আগে পৃথিবী এরকম বড় সৌরঝড়ের প্রকোপে পড়েছিল ১৯২১ সালে। সে সময় ইন্টারনেটের অস্তিত্বই ছিল না। সে সময় জ্বলেপুড়ে গেছিল টেলিগ্রাফের তার। হিলিয়াম এবং হাইড্রোজেনে ভর্তি সূর্যে সারাক্ষণই বিস্ফোরণ হয়ে চলেছে। এর ফলে কখনও কখনও সূর্যের বায়ুমণ্ডলে সৌরঝড় সৃষ্টি হয় এবং পৃথিবী সহ গোটা সৌরমণ্ডলে ছড়িয়ে যায়। বিজ্ঞানের ভাষায় এই ঝড়কে বলা হয় করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমআই)। বিজ্ঞানীরা বলছেন এবার যে সৌরঝড় ধেয়ে আসছে তা ১৮৫৯ এবং ১৯২১ সালের মতো শক্তিধর। ১৯৮৯ সালের সৌরঝড় তত বড় ছিল না, তাতেও কানাডার কুইবেক প্রদেশে বিদ্যুৎ ছিল না ৯ ঘণ্টা। সাধারণত ছোটখাটো ঝড়ঝাপটা থেকে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে দেয় তার চৌম্বক ক্ষেত্র। দুই মেরুর চৌম্বক শক্তি সূর্যের কণাগুলি মহাকাশে ফিরিয়ে দেয়। ওই সংঘর্ষের কারণেই দুই মেরুতে মেরুচ্ছটা দেখা যায়। সুমেরু এবং কুমেরুতে যার নাম যথাক্রমে অরোরা বোরিয়ালিস এবং অরোরা অস্ট্রালিস। বিপদ হয় যখন বড় আকারের সৌরঝড় এসে উপস্থিত হয়। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে সামাল দিতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা, টেলিগ্রাফ। আধুনিক পৃথিবীতে সবথেকে ভয় ইন্টারনেট নিয়ে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা গবেষক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি বলছেন, সৌরঝড়ের কোনও পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। যখন তখন সৃষ্টি হতে পারে এই মহাজাগতিক ঘটনার। সুর্য থেকে পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে সময় লাগবে মাত্র ১৩ ঘণ্টা। নতুন যে সৌরঝড়ের কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা তা ১৯২১ সালের মতোই কিংবা তার চেয়েও বিধ্বংসী।

Loading