দারুচিনির উপকারিতা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। এটি হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচিত এর ঔষধি গুণাবলির জন্য।
আজ জেনে নিন দারুচিনির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে—
১. ঔষুধি গুণাবলি
প্রাচীন মিসরে দারুচিনি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। আর সে সময় এটি অত্যন্ত বিরল এবং মূল্যবান ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হত। বিজ্ঞানীরা দারুচিনির অনেকে ঔষধি গুণাবলি খুঁজে পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বিপাকের ওপরে দারুচিনির প্রভাব। তবে এটি ছাড়াও আরও অনেক গুণ রয়েছে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
দারুচিনি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তাই দারুচিনি স্বাস্থ্যের জন্য অনকে উপকারী।
৩. অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
দারুচিনিতে অবিশ্বাস্যভাবে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এই মসলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক ফলে এটি আপনার শরীরকে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে এবং টিস্যুর ক্ষতি মেরামত করতে সহায়তা করতে অনেক কার্যকরী।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও অনেক উপকারী দারুচিনি। এটি কোলেস্টেরল থেকে খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায় এবং ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরলকে স্থিতিশীল রাখে। দারুচিনি রক্তচাপ কমাতেও অনেক উপকারী।
৫. রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়
দারুচিনি রক্ত-শর্করা-হ্রাসকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, দারুচিনির অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব রয়েছে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ১০ থেকে ২৯.৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। আর এর উপকার পেতে আপনি চায়ের সঙ্গেও দারুচিনি খেতে পারেন।
৬. নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে উপকারী
মস্তিষ্কের কোষগুলোর গঠন বা কার্যকারিতার প্রগতিশীল ক্ষতি থেকে নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ হয়ে থাকে। আর এ ধরনের রোগের সবচেয়ে সাধারণ দুটি প্রকার হচ্ছে আল্জ্হেইমার ও পারকিনসন। আর এ ধরনের রোগে উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে দারুচিনি। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, দারুচিনি নিউরন রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা স্বাভাবিক করে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন ডটকম