নিজস্ব প্রতিনিধি – তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেই ম্যাজিক দেখিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুকুল রায়। তার দলের ফেরার পরপরই বিজেপিতে বড় ভাঙনের আশংকা তৈরি হয়। সোমবার সেই আশংকাই সত্য প্রমাণ করে বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাসহ আলিপুরদুয়ারের মোট বিজেপি নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। খবরে বলা হয়, উত্তরবঙ্গে সংগঠন শক্তিশালী করার দায়িত্ব তার ওপরই দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই ফের ম্যাজিক দেখালেন মুকুল রায়। তবে এটা নাকি ট্রেলার মাত্র। তাই যদি হয় তাহলে গোটা ব্যাপারটি যা ঘটতে চলেছে তাতে উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে ধরাশায়ী হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‌বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা যিনি চিফ হুইপ হয়েছেন তিনি বিরোধী দলনেতা হওয়ার যোগ্য।’‌ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী এই পদের যোগ্য নয় বলেই কার্যত বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। দলবদলের সঙ্গে সঙ্গেই সাংসদ জন বার্লাকে তুলোধোনা করেছেন গঙ্গাপ্রসাদ। তাঁর কথায়, তিনি কোনও কাজ করেননি। গঙ্গাপ্রসাদের দলবদল নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌আমরা আরও বড় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৈরি করব।’ এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‌শুভেন্দুবাবু তো পদের লোভেই দলে এসেছেন। বিধানসভার টিকিট না দিলে, বিরোধী দলনেতা না করলে তিনি কি বিজেপিতে থাকবেন? এই তো দলে এলেন। বড় বড় কথা বলছেন এখন।’‌

Loading