ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি করতে হয়। যেমন কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, স্নায়ুর সমস্যা, পায়ের সমস্যা ইত্যাদি নানান ধরণের রোগের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ঝুঁকি কমাতে নিখুঁতভাবে স্বাস্থ্য পরিচালনা করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ এই রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখার মূল চাবিকাঠি।
ডায়াবেটিস সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য একটা কাজ। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রবলভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। গুরুতর শারীরিক সমস্যা যাতে না হয় তাই নিয়মিতভাবে গ্লুকোজের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সামান্য সমস্যা দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
সময় মেনে চলা: ডায়াবেটিক রোগীদের কোনও বাধা ছাড়াই ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। গ্লুকোজ মাত্রার ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ ছাড়াও, ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ নিতে হবে।
পরিশ্রম করে যেতেই হবে: ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও পরিচালনায় সুষম খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং নিয়মিত হাঁটাচলা একটি গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। ব্যায়ামের পাশাপাশি পুষ্টির প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ ওজন নিয়ন্ত্রণে আর রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহা্য্য করে । স্বাস্থ্যকর এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। পেশী এবং হাড়কে শক্তিশালী করে। সঙ্গে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন ৪৫ মিনিটের পরিমিত ব্যায়াম, হাঁটা চলা করা অত্যন্ত জরুরি।
স্ট্রেসকে কমিয়ে ফেলুন: স্ট্রেস কার্যকর গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে একটি প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্যান্ডেমিক চলাকালীন মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি হ্রাস পেয়েছে। এটি আরও খারাপ হয়েছে। দীর্ঘ লকডাউন আমাদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশার জন্ম দিয়েছে। আর এইসব কারণেই আমাদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মানুষ মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েছে। মানসিক চাপ এড়াতে কেউ ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের মতো স্বাস্থ্যকর রুটিন বেছে নিতে পারেন।
সতর্ক থাকুন: প্যান্ডেমিক এখনও আমাদের সঙ্গ ছাড়েনি। ডায়াবেটিস রোগীদের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। টিকা নেওয়ার পাশাপাশি, ডায়াবেটিস রোগীদের সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা এবং ঘন ঘন হাত ধোয়ার মতো বিধি নিষেধ অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।