নিজস্ব প্রতিনিধি – ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে দুই পাউন্ডের একটি কেক কিনেছিলেন  মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ফিরোজ মানসুরি। নেপানগর শহর থেকে কেকটি কিনে ভাই সাবিরকে সঙ্গে নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। গোরাদিয়া গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন তিনি। বুরহানপুর এলাকায় পৌঁছালে তাদের ধাওয়া করে একটি চিতাবাঘ। দ্রুত কেকটি বাঘের মুখে ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে বাঁচেন তারা।  প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর চিতাবাঘের আক্রমণের কথা সাধারণত শোনা যায় না। তবে ওই ভাইয়েরা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাস্তার পাশের একটি আখ ক্ষেত থেকে বেরিয়ে আসে চিতাবাঘটি। তারা বলেন, ‘বড় বিড়ালটি প্রায় আধ কিলোমিটার আমাদের তাড়া করে, প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছি।’ মারাত্মক ভয় পেয়ে মোটরসাইকেলের গতি বাড়ান তারা। কিন্তু মেঠো পথে খুব দ্রুত গাড়ি না চলায় তাদের প্রায় ধরে ফেলতে যায় চিতাবাঘটি। সেসময় মোটরসাইকেলে থাবাও বসায় বাঘটি। মোটরসাইকেলে আরোহী হয়ে বসে কেকটি ধরে রেখেছিলেন ছোট ভাই সাবির। বাঘের হামলায় যখন কেকের প্যাকেটটি ছিঁড়ে যায় তখনই হঠাৎ করে বিষয়টি মাথায় আসে সাবিরের। কেকটি বাঘের মুখে ছুঁড়ে দেন তিনি। মুখে মিষ্টি খাবারের স্বাদ পেয়ে বাঘটি আবারও আখ ক্ষেতে ঢুকে পড়ে।

সাবির পরে বন কর্মকর্তাদের জানান, বাঘটি প্রায় পাঁচশ’ মিটার পর্যন্ত আমাদের ধাওয়া করে। আমরা মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরেছি। বন কর্মকর্তারা প্রথমে ঘটনাটির সত্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, পরে মোটরসাইকেলের আঁচড়টি চিতাবাঘের থাবার বলে নিশ্চিত হন তারা।

Loading