নিজস্ব প্রতিনিধি- ভারতে যত দিন যাচ্ছে, ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ইতোমধ্যে একপ্রকার লকডাউন চলছে মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশে। লকডাউনের দাবি করেছে দিল্লিও। তবে ভোটের মৌসুমে পশ্চিমবঙ্গের লকডাউন করা না গেলেও, একাধিক সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করলো মমতার সরকার। রোববারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। যদিও বেসরকারি মতে, শনাক্তের সংখ্যা প্রায় নয় হাজারের কাছাকাছি। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোববার সামাজিক মাধ্যমে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন বিধি ছাড়া রাজ্যের রাজকর্ম চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন মমতার সরকার। ফলে সেই নিয়ম অনুযায়ী নতুন নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তিনি। ওই দপ্তর থেকে নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাড়ির বাইরে পা রাখলে বাসে, ট্রেনে বা গাড়ি, এমনকি নিজের গাড়ি অর্থাৎ যেভাবেই যাতায়াত করা হোক না কেন সবক্ষেত্রেই মাস্ক পড়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প, কারখানা এবং সব সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ভবনগুলো সপ্তাহে একবার অন্তত সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে। বাজার গুলোতে নিয়মিত জীবাণুমুক্তকরণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। দোকান, বাজার, কারখানা এবং বাণিজ্যিক দপ্তরগুলোতে সব কর্মচারী এবং গ্রাহক মিলিয়ে যেন ভিড় না জমে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। সরকারি অফিসগুলোতে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অর্থাৎ রোটেশন বেসিস ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে ফের কর্মীদের দিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অফিসে বসে কাজ করার সময় ও কর্মীদের মাস্ক পরে থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে দোকান বাজার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও। এ ছাড়া শপিংমল, মাল্টিপ্লেক্স, থিয়েটার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, স্টেডিয়াম, সুইমিংপুলের মতো এলাকাগুলোয় একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনোরকম লঙ্ঘন বা অসতর্কতা চোখে পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

Loading