কবিতা – না দিয়েও দেওয়া যায় !
কলমে – অসীম মুখার্জী
কি?……… বুঝলেন কিছু ?
ভাবুন, সকলে ই ভাবুন…..
তা বলে গোটা মাসটাই ভাববো
বললে তো আর চলবে নি !
আপনাদের যেমন কাজ থাকে,
আমার ও তো একটু আধটু
কাজ থাকবে নে, তাই কখনো হয় ?
বলুন তো দাদা ভাই
ও দিদিভাইরা………..?
না না ঢোঁক গিলবেন না
আবার ঝোল ও টানবেন না….
চটপট বলে ফেলুন তো দেকি
আর তো সময় দেওয়া যায়না
সেই কখন থেকে বসে আচি
উত্তর তো সব্বার ই জানা
পেলুম বলে !
কিন্তু হক্কলে একনো ভাবতিচেন
ওঃ কি যে করি ? বুজতে পারতেচিনে ………. এ্যাই দেকুন ?
আমি ও চুপচাপ বসে রয়েচি।
দূ………র ….. নিজের উপরই এবার
রাগ হচ্ছে ।
কেন যে প্রশ্নটা করতে গেলেম
তাও আমার প্রশ্ন নয়……
এইটে মগজের প্রশ্ন ? দেকুন দিকিনি
খাবার খা,আর চুপটি করে থাক!
তা না করে হঠাৎ ঠ্যালা দিয়ে বলল
লিকে ফেল একুনি প্রশ্নটা।
কি করে তারে অসম্মান করি
বলুন তো ?
একেতো ভেজাল খেয়ে খেয়ে
মাতা,দেহি কাজ বন্ধ করে হরতাল
করে দিতেই থাকে….. দিতেই থাকে,
আজ মাতা ধরা,কাল গ্যাস,পরশু
ক্ষুদা মন্দা,পরের দিন পেটের
গন্ডুগুল নেগেই থাকে….?
দেখি শুধু পরান ডাই আচে।
যাক আপনাদের অমূল্য সময়
আর নষ্ট করতে চাই না বা….বা ,
নাহলি খানদানি মার্কা গালি খেতে
হবে।একন তো ওটাও একমাত্র
সস্তা, বাজারের সবজি থেকে
শুরু করে যেটি কিনবেন ? সবেতেই
হাতে ছ্যাঁকা লাগবে, একমাত্র……
গালি গালাজ টা একনো পর্যন্ত
চিরকাল ই ফ্রি….. ভুল বললুম ?
কিচু বলুন তো ?
এবার আসতেচি আসল কথাটাই
ওইযে বলে ফেলেচি…………….?
“না দিয়েও দেওয়া যায়”
সেটা হলো গিয়ে বাঁশ !!!
আরে প্রায় একন বাঁশ দেওয়ার
প্রতিযোগিতা চলতেচে…..রাম
দিচ্চে শ্যামকে বাঁশ তো রহিম দিচ্চে
মহিম কে বাঁশ, কিন্তু সত্যিকারের বা
আসল বাঁশ কেউ দিচ্চেনা,
আসল বাঁশ একন দুশো -আড়াইশো
টাকা দাম।বিনে খরচে বাঁশ যেটা
ওটা আরো দামি সেই অদৃশ্য
বাঁশে কতো জন কেই কুপোকাত
হতে দেকচি……. এই অদৃশ্য বাঁশ
শব্দটি একটি “যুগান্তকারী”
আবিষ্কার বললে কি ভুল হবে ?
যুগে যুগে এই অদৃশ্য বাঁশ
বেঁচে থাকবে।
অদৃশ্য বাঁশ কেবল নামে দেওয়া হলেও
অনেক কে দূর্বল করে দেয়।
এই বাঁশ সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর যুগে ও
ছিল ,এখন এই কলিকালে এসে
রমরমিয়ে চলছে……… এই যা তফাৎ !!