এই শীতে শিশুর সুস্থতা
ডক্টর অনুপ কুমার মঙ্গল
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
ফোন: ৯৭৩৪৮৪১১৯০
শীতে যত বাড়ছে মায়েদের দুশ্চিন্তা তত বাড়ছে। কেননা শীত বাড়লেই ছোটদের নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। ছোটখাটো অসুখ লেগেই থাকে। আর এ কারণে মায়েদের কপালে পড়ে চিন্তার রেখা। শিশুদের শীতের রোগবালাই থেকে রক্ষায় কি করনীয় তা নিয়ে কিছু জেনে রাখা ভালো।
যে কারণে অসুস্থতা:
শীতের সময় মূলত জ্বর সর্দি, কাশি -হাঁচি,শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এগুলো যে কারণে হয় তা হচ্ছে-
**সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা বাতাসের সামনে গেলে।
**পাইপের জলে হাত- মুখ ধোয়ানো হলে।
**সর্দি জ্বরে আক্রান্ত বযোজেষ্টদের সংস্পর্শে এলে।
**ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের মায়ের বুকের দুধ বন্ধ হলে।
**এলার্জি বা হাঁপানি কিংবা অন্য কোনো বংশানু ক্রমিক রোগের ইতিহাস থাকলে।
**সন্ধ্যায় কুয়াশায় গেলে।
অসুখের পরে করনীয়:
**অসুস্থ শিশুকে কোনো অবস্থাতেই আর ঠান্ডা লাগানো যাবেনা।
**সর্দি কাশি আরম্ভ হলে প্রথমেই চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ এতে বড় ধরনের অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাবে।
**মধু,আদা,তুলসী পাতার রস, লেবুর রস, রং চা, গরম জল এসব খাওয়ানো যেতে পারে।
**শিশুকে গার্গল করানো যেতে পারে।
**স্বাভাবিক এবং পরিণত মাত্রায় সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে।
ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের অসুস্থ অবস্থায় মায়েদের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
বংশগত রোগের ক্ষেত্রে বাড়তি ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হলে হাসপাতালে নিতে হবে।
**জল শূন্যতা পূরনের জন্য(ডায়রিয়াহলে) বেশি জিংক খাওয়ানো যেতে পারে।
খেয়াল রাখতে হবে:
**বাচ্চাকে আবহাওয়া বুঝে ঘরের বাইরে বের করতে হবে।
**ঘরে বা বাইরে যেখানেই হোক ঠান্ডায় গরম কাপড় চোপড় (টুপি, হাত পা, মোজা, জুতা, সোয়েটার ইত্যাদি) পরতে হবে।
**ফ্রিজের খাবার খাওয়ানো চলবে না।
স্নান থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত জল হালকা গরম করতে হবে।
**সব সময় বাচ্চাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
**অসুস্থদের কাছ থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে।
**ছয় মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে।
**বাচ্চাদের শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খাওয়াতে হবে।