নিজস্ব প্রতিনিধি – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম ছাড়াও আরও একটি আসনে লড়বেন। উলুবেড়িয়ার জনসভা থেকে এমনই বিতর্ক তৈরি করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এরকম কোনও সম্ভাবনাই নেই।

 দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলকালীনই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন কিনা, প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন নন্দীগ্রাম ছাড়াও আরও একটি আসনে দাঁড়াতে পারেন মমতা। কারণ নন্দীগ্রাম এই নির্বাচনে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। দিদিকে সরে যেতেই হবে। সেই বিধান দিদি খন্ডাতে পারবেন না।

এদিন মোদী বলেন নন্দীগ্রামে মমতা নিজের হার মেনে নিয়েছেন। শেষ দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া চলছে। আপনি আরও একটি আসনে লড়তে পারেন। এরকম নাকি শোনা যাচ্ছে। এটা কি সত্যি। কেন মমতা তিন দিন ধরে নন্দীগ্রামের মাটিতে পড়ে রয়েছেন, তা নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষ দ্বিতীয় দফায় জবাব দিয়ে দিয়েছে বলে জানান মোদী। নন্দীগ্রাম থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন বাংলা পরিবর্তনের জন্য তৈরি। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি নন্দীগ্রাম থেকেই জিতে আসছেন মমতা, সে ব্যাপারে দল ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। অন্য কোনও আসন থেকে লড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল জানায়, প্রধানমন্ত্রী গুজব ছড়াচ্ছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বিজেপি। মানুষ সেই ফাঁদে পা দেবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন তাঁরা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল নন্দীগ্রামের বয়াল৷ সাত নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ বয়াল মোকতব প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা৷ খবর পেয়েই বুথে যান তৃণমূল সুপ্রিমো৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথে ঢুকতেই উত্তেজনা বেড়ে যায়৷ বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা৷ বুথেই আটকে পড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ বুথের বাইরে উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রী রাম স্লোগান তুলতে থাকেন৷ ঘটনাস্থলে থাকা তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তুমুল বচসা, হাতাহাতি বেধে যায় দু’পক্ষের৷

পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বহু চেষ্টা করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বের করতে পারেননি৷ বাইরে আনলে তাঁকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভের আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনী, RAF, মহিলা পুলিশ যায় বয়ালের সেই বুথে৷ বুথের বাইরে থেকে ভিতর পর্যন্ত কর্ডন করা হয়৷ অন্য কেউ যাতে সেই বেস্টনীর মধ্যে ঢুকতে না পারেন তার ব্যবস্থা করে বাহিনী৷ কড়া নিরাপত্তায় বয়ালের সাত নম্বর বুথ থেকে বের করে আনা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোকে৷

সূএ:কলকাতা২৪×৭

Loading