নিজস্ব প্রতিনিধি – পেগাসাস স্ক্যান্ডাল নিয়ে ভারতের বিরোধী দলগুলোর নেতাদের বৈঠকে যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে পরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলেছেন, এই ইস্যুতে যেকোনও সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকবেন তিনি। আর এতে ভারতের সব দলগুলোরই ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। সেই ঐক্যের নেতৃত্ব দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক জ্যোতিষী নই। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। অন্য কেউ নেতৃত্ব দিলে আমার কোনও সমস্যা নেই।’ সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১৯ সাল থেকে ১৭টি দেশের সংবাদমাধ্যম মিলে ‘দ্য পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে নজরদারির বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২১ জুলাই এই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উঠে আসে দুনিয়াজুড়ে নজরদারির শিকার হয়েছেন মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সদস্যরা। ভারতের বেশ কয়েক জন বিরোধী দলীয় নেতার ফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আড়িপাতা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। পেগাসাস স্ক্যান্ডাল নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর চেষ্টায় রয়েছে বিরোধীরা। তারই অংশ হিসেবে বিরোধী দলগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে যোগ না দিলেও তাদের প্রতি সমর্থনের কথা জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের মুখ হবেন কিনা জানতে চাইলে মমতা বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ কর্মী, কর্মী হিসেবেই কাজ চালিয়ে যেতে চাই।’ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনার প্রয়োজনের দিকে ইঙ্গিত করে মমতা জানান, পার্লামেন্ট অধিবেশনের পর তিনি এই বিষয়ে ভালোভাবে কাজ শুরু করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সব দলের সঙ্গেই কথা বলবো।’ চলমান দিল্লি সফরে তিনি কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও কথা বলবেন বলেও জানান মমতা। পশ্চিমবঙ্গের সর্বশেষ নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়ে ভারতের বিরোধী দলগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে কাজ করার একটি সাধারণ প্লাটফর্ম থাকা দরকার। বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা সবাই একসঙ্গে বসবো আর কিছু একটা উপায় বের করবো।’

Loading