ভারতের সেরা আইনজীবী সতীশ মানিশিন্দেকে নিয়োগ  করলেও ছেলে আরিয়ানের জামিন করাতে পারেননি শাহরুখ খান। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) যুক্তির কাছে বারবারই হেরেছেন তিনি। যে কারণে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের হাইপ্রোফাইল জেলই এখন আরিয়ানের ঠিকানা। শাহরুখপুত্রের পরিচয় এখন ‘কয়েদি নম্বর ৯৫৬’। কারাগারের প্রকোষ্টে মনোবিদ দিয়ে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে আরিয়ান এবং তার দুই সঙ্গী আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচাকে।

এনসিবির কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে সামনাসামনি খোলাখুলি কথা বলেছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান।  উল্লেখ্য, এই সমীর ওয়াংখেড়েই মাদক পার্টির খবর পেয়ে ছদ্মবেশে সেই প্রমোদতরীতে উঠেছিলেন।

এনসিবি সূত্র জানিয়েছে, সমীরের কাছে  অকপটে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন আরিয়ান। এইরকম অপরাধের পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না বলেও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। আরিয়ান বলেছেন, ‘আমি একদিন এমন কিছু করব, যাতে আপনি গর্বিত হবেন’।

প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে কারাবন্দি আরিয়ান। দুবার নাকচের পরও গত ১৪ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সতীশ মানসিন্দে। কিন্তু নাকচ হয়ে যায়। ২০ অক্টোবর এনডিপিএস আদালতে ফের জামিনের শুনানি হবে তার।  ৯৫৬ নম্বরের সাদা-কালো পোশাকেই থাকতে হবে আরিয়ানকে। করোনাবিধির কারণে বাবা শাহরুখ খান ও মা গৌরির সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারছেন না আরিয়ান। সে জন্য আরিয়ানের মন  ছটফট করছে।

ভিডিওকলে আরিয়ানকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। জেলের মধ্যে বসে মোবাইল স্ক্রিনে বাবা-মাকে দেখে অঝোরে কেঁদেছেন আরিয়ান। ছেলের এই দুর্দশা দেখে ভেঙে  পড়েছেন  মা গৌরি খান। মানত করেছেন, যতদিন না ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে পারবেন, কোনো মিষ্টি খাবার ছোঁবেন না।

 

Loading