আফগানিস্তান পুনর্গঠনে অংশ নিতে চীনকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান। দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন। খবর রয়টার্সের। গত সপ্তাহে কাবুলের পতনের আগে থেকেই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছে তালেবান। গত মাসেই চীনের বন্দর শহর তিয়ানজিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে দেখা করে তালেবানের প্রতিনিধিদল। এখন আফগানিস্তানের দখল তালেবানের কাছে আসার পর দেশটির দিকে চীন নজর দেবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সিজিটিএনকে সুহাইল শাহিন বলেন, ‘চীন একটি বড় দেশ। তাদের বিশাল অর্থনীতি ও সক্ষমতা রয়েছে। আমি মনে করি, আফগানিস্তান পুনর্গঠনে তারা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’  তবে আফগানিস্তানে চীনের সহায়তা পেতে হলে নিজেদের কট্টরপন্থী নীতির পরিবর্তন করতে হবে তালেবানকে। গত মাসে সংগঠনটির সঙ্গে বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইও এমনই ইঙ্গিত দেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, আফগানিস্তান শাসনে মধ্যপন্থী ইসলামি নীতি গ্রহণ করা হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। এদিকে তালেবানের সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্ক ভালোর দিকে এগোলেও আগে কিন্তু এই তালেবানই চীনের মাথাব্যথার কারণ ছিল। দেশটির জিনজিয়াং অঞ্চলে ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নানা সংগঠন আফগানিস্তানের তালেবান–নিয়ন্ত্রিত অংশে আশ্রয় পেতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল বেইজিংয়ের।

Loading