মানসিক উদ্বেগ ও উত্তেজনা আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব ফেলে। মানসিক উত্তেজনা বা উদ্বেগ থাকলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে বা কিছু পানীয় আছে যা পান করলে তা আমাদের উদ্বেগ বা উত্তেজনা বেড়ে অনেক গুণ।
কিছু খাবার আছে যা খাওয়ার পর প্রায়ই শরীরে আতঙ্কের বা উদ্বেগের অনুভূত হয়। কিন্তু অনেকেই এটি বুঝতে পারেন না যে, এই লক্ষণগুলি সেই খাবারের প্রভাবের কারণেই হয়।
কিছু খাবার ও পানীয় আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার স্পাইক উৎপন্ন করে উদ্বেগ বা এই ধরনের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
এ ধরনের খাবার ও পানীয়গুলো শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে ।যেসব খাবার ও পানীয়তে উদ্বেগ বাড়ে, সেগুলি হল –
১. চিনিযুক্ত যেকোনো জুস
আমরা পানীয়তে আলাদাভাবে চিনি যোগ করে থাকি। এটি আমাদের শরীরের ওপরে ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যে কোনো ধরনের জুসে চিনি না দিয়ে পান করা উচিত।
২. ক্যান্ডি, কেক, কুকিজ
কেক, কুকিজ ও ক্যান্ডিজাতীয় খাবারগুলো আপনার রক্তে (সুগার) শর্করার মধ্যে স্পাইক তৈরি করে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এসব অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। আপনার যদি মিষ্টি খেতে খুবই ইচ্ছে করে , তাহলে মিষ্টি খাবারের চাহিদা মেটাতে তাজা ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. এনার্জি ড্রিংকস, কফি, চা ও
এনার্জি ড্রিংকস, কফি, চা-তে ক্যাফেইন থাকে যার ফলে এগুলো আমাদের শরীরে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। বেশি পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করলে বেশি উদ্বেগের সৃষ্টি হতে পারে। যারা দিনে ৫ কাপের বেশি কফি খায়, তাদের মধ্যে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
৪. প্রসেস করা মাংস ও চিজ
বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিজ আমাদের প্রদাহ (ইনফ্লেমেশন) কে বাড়িয়ে দিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া এ ধরনের খাবারে ফাইবারও অনেক কম পরিমাণে থাকে। তাই সুস্থ্য থাকার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. প্রক্রিয়াজাত ভেজ্য তেল
বিভিন্ন ফাস্টফুডকে অনেক ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয়। আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে— এসব খাবারে প্রক্রিয়াজাত তেল ব্যবহার করা হয়। প্রক্রিয়াজাত তেল ব্যবহারের করলে সেই খাবারগুলো উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়। আর এর মধ্যে ভুট্টার তেল ও সয়াবিন তেল সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক। তাই এ ধরনের তেল পরিহার করা উচিত।
৬. কৃত্রিম ভাবে তৈরী মিষ্টি
বিভিন্ন খাবারে ও পানীয়তে কৃত্রিম মিষ্টি যোগ করা হলে তা অনেকের ক্ষেত্রেই উদ্বেগসহ নিউরোসাইকিয়াট্রিক সমস্যাগুলোর সৃষ্টি করে ।