নিজস্ব প্রতিনিধি – সন্তান হওয়ার পর প্রত্যেক মা-বাবারও নতুন কিছু দায়িত্ব যোগ হয়। তাকে সুন্দর ব্যবহার শেখানোর দায়িত্বও কিন্তু আপনাদের। মা-বাবার ভেতরে সম্পর্ক সুন্দর না থাকলে, একে অন্যকে দোষারোপ করতে থাকলে বা ঝগড়া বিদ্যমান থাকলে তার প্রভাব সন্তানের ওপর পড়বেই। এসব ছাড়াও সন্তানের সামনে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ভদ্রতা বজায় রাখুন:

সন্তান আশেপাশে থাকলে স্বামী-স্ত্রী ভদ্রতা বজায় রাখুন। বাচ্চার সামনে এমন কোনও কাজ করা থেকে বিরত থাকুন, যা তাদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। সর্বদা শৃঙ্খলা বজায় রাখুন এবং ভাল আচরণ করুন।

চিৎকার করে কথা বলবেন না:

অনেক সময় রেগে গেলে বা বিরক্ত হলে আমরা চিৎকার করে কথা বলি। কিন্তু শিশুর সামনে এমনটা করবেন না। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। আপনি তার সামনে ধৈর্যশীল আচরণ করলে শিশুও তাই শিখবে। আর সে যদি আপনাকে চিৎকার-চেচামেচি করতে দেখে তবে তাই ঠিক বলে ধরে নেবে।

বডি শেমিং করবেন না:

শিশুর সামনে তো নয়-ই, তার আড়ালেও কাউকে নিয়ে বডি শেমিং করবেন না। কারও গায়ের রং, চেহারা, শারীরিক গঠন নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেন না। কারণ কেউ নিজেকে সৃষ্টি করতে পারেন না। স্রষ্টা যাকে যেভাবে তৈরি করেছেন, সে সেভাবেই সুন্দর। এই বোধটুকু আপনার সন্তানের ভেতরও ধারণ করতে শেখান।

টিভি ফোন কম ব্যবহার:

আপনি যদি বেশিরভাগ সময় ফোন ও টিভি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে আপনার সন্তানও তাতে অভ্যস্ত হবে। সময় কাটানোর জন্য সে এগুলোই বেছে নেবে। এ ধরনের অভ্যাস নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে আপনাকেই। তাই শিশুকে এসব থেকে দূরে রাখার জন্য আপনাকেও ছাড় দিতে হবে, ফোন কিংবা টিভির পেছনে কম সময় ব্যয় করতে হবে। এর বদলে বই পড়া, গাছ লাগানো, ছবি আঁকা ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে শিশুকে আগ্রহী করে তুলতে পারেন।

খাবার নষ্ট করবেন না:

শিশুর সামনে কোনো খাবারকেই সহজলভ্য করে তুলবেন না। খাবার নষ্ট করতে দেবেন না। তাকে খাবারের গুরুত্ব বুঝতে শেখান। তার পেছন পেছন খাবার নিয়ে ছুটবেন না বা খাবারের জন্য জোরাজুরি করবেন না। বরং ক্ষুধা পেলে তাকে নিজের হাতে খেতে শেখান। খাবার অপচয় করা কেন ঠিক নয়, তাও বুঝিয়ে বলুন।

কাউকে অপমান করবেন না:

আপনি যদি শিশুর সামনে কাউকে অপমান করেন তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশুর ওপরও। কারও সঙ্গে মতের মিল না হলে বা কারও কোনো আচরণ পছন্দ না হলেও তাকে অপমান করবেন না। বরং ঠান্ডা মাথায় তার সমাধান করুন। তাদের প্রতি ক্ষোভ উচ্চস্বরে প্রকাশ করবেন না। আপনাকে খারাপ ব্যবহার করতে দেখলে আপনার দেখাদেখি শিশুও তা শিখবে। তাই শিশুর কাছ থেকে ভালো আচরণ আশা করলে আপনাকেই তা ধরে রাখতে হবে।

(8) ছেলের পরিচালনায় কিশোর কুমারের বায়োপিক!

নিজস্ব প্রতিনিধি – গত কয়েক বছর ধরে প্রয়াত কিংবদন্তি গায়ক, অভিনেতা, সুরকার ও নির্মাতা কিশোর কুমারের বায়োপিক নির্মাণ প্রসঙ্গে গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে সেই গুঞ্জন সত্যি হলো। কালজয়ী এই গায়কের ৯২ তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে কিশোর কুমারের পরিবার। সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমার, সুমিত কুমার ও স্ত্রী লীনা চন্দ্রভারকার। প্রযোজনার পাশাপাশি এর পরিচালনাও করবেন অমিত কুমার।

বায়োপিক নির্মাণ প্রসঙ্গে অমিত কুমার বলেন,‘বায়োপিক নির্মাণের পরিকল্পনা আমার সব সময়ই ছিল। আমার পরিবারের চেয়ে তাকে (কিশোর কুমার) কে ভালো জানেন? আমরা খুব শিগগির বাবা সম্পর্কে আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করব।’ সিনেমার শুটিং শুরু হতে একটু দেরি হবে বলে জানান অমিত কুমার। তিনি আরো জানান, ‘চিত্রনাট্য তৈরি করতে কমপক্ষে এক বছর লাগবে। অনেক পরিশ্রমসাধ্য কাজ এবং অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’কিশোর কুমারের ভূমিকায় পর্দায় কাকে দেখা যেতে পারে সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানাননি অমিত কুমার। এর আগেও অনেকেই কিশোর কুমারের বায়োপিক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। সর্বশেষ বলিউড নির্মাতা অনুরাগ বসু কিশোর কুমারকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়।

Loading