এলাচ গলাব্যথা-সহ নানান অসুখ দূর করতে সাহায্য করে। এলাচ উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এলাচ ঠাণ্ডা ও কফজনিত সমস্যা দূর করে। এর অ্যান্টিসেপ্টিক সমৃদ্ধ বীজ থেকে পাওয়া তেল যা গলাব্যথা সারাতে কার্যকর।
রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও এলাচের কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। এটি প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও সমাদৃত। এলাচের কিছু অবিশ্বাস্য উপকারিতার কথা।
পেটের সমস্যা দূর করে
এলাচ পেটের ফাঁপা অবস্থা হ্রাস করে, প্রাকৃতিকভাবেই এলাচ বায়ুনাশকারী হিসেবে কার্যকরী। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পিত্তরসের প্রবাহ বৃদ্ধি করে থাকে। দেহের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও এলাচের বিকল্প পাওয়া কঠিন।
দুর্গন্ধ দূর করতে
মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে এলাচ কার্যকরী। এলাচ মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, ফলে মুখে দুর্গন্ধ থাকে না। তাই মুখে দুর্গন্ধ হলে একটি এলাচ চুষে খান। দেখবেন, দুর্গন্ধ একেবারে দূর হয়ে গেছে।
শ্বাস প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় এলাচ
এলাচ শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণ, অ্যাজমার মতো সমস্যায় এলাচ খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
রক্ত জমাট বাধার সমস্যায়
এলাচে ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হ্রাস করে। দেহের বাড়তি Fluid বের করে এছাড়া এলাচের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যা দূর করা। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব স্বাভাবিক থাকে।
কিডনির সমস্যা দূর করে
কিডনির সমস্যার দূর করতে এলাচ খুব ভালো কাজ করে। এলাচ মূত্রত্যাগের বিষয়টি উদ্দীপ্ত করে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। কিডনিতে জমতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ইউরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত এলাচ গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরণের কিডনির সমস্যা, মূত্র থলির সমস্যা, কিডনি পাথর, নেফ্রাইটিস, মূত্র ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করা ও ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের সমস্যা নিরাময়ে কাজ করে।