রাশিগত শত্রুতা, নিবারণ ও প্রতিকার
বিশ্ববাংলা সেরা সম্মান ২০১৮, মাদার টেরেজা স্মারক সম্মান ২০১৮,
বঙ্গরত্ন গৌরব সম্মান ২০১৮ দ্বারা অলংকৃত
আচার্য্য শিবু শাস্ত্রী
আচার্য্য, শাস্ত্রী, প্রাক শাস্ত্রী, রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থানম
(ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত)
জ্যোতিষ ভারতী, জ্যোতিষ শাস্ত্রী, জ্যোতিষ আচার্য, তান্ত্রিকাচার্য্য,
জ্যোতিষ এশিয়াশ্রী উপাধি প্রাপ্ত (স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)
যোগাযোগ – ৯৮৩০২৯২১৭৪
Email : acharyashibusastri@gmail.com
শত্রুতা ও শত্রু – এই দুটি কথা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। মানবজীবনের ভয় ও ভীতি এই দুটি ক্ষেত্রে থেকে আসে। যা সুস্থ ও সুন্দর জীবনকে করে তোলে ভয়াবহ অশান্তি ও দিশাহীন।
শত্রুতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক থেকে আসে। যেমন গৃহগত ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে, বিদ্যাক্ষেত্রে, ব্যবসাক্ষেত্রে, বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে এবং আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে। রাশিচক্রের ষষ্ঠ স্থানকে শত্রুতার বিচার ক্ষেত্র রূপে ধরা হয়। লগ্নের ষষ্ঠ স্থান থেকে জাতকের শত্রু, ক্রোধ, হিংসা, পীড়া, আঘাত, গৃহপালিত পশু, দুরভিসন্ধি, মাতুল প্রভৃতি বিচার করা হয়।
শত্রুস্থানে বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান –
(১) রবি শত্রুস্থানে শত্রুভাবে নারীর নিকট অসম্মান, মাতুল থেকে বিপদ ও অহেতুক চিন্তা।
(২) চন্দ্র শত্রুভাবে মাতা, অলসতা, নীচতার জন্য শত্রুতা।
(৩) মঙ্গল শত্রুভাবে অর্থক্ষতির জন্য শত্রুতা।
(৪) বুধ শত্রুভাবে সন্তানদের জন্য, উপার্জন ক্ষেত্রে শত্রুতা।
(৫) বৃহস্পতি শত্রুভাবে অলসতা ও ধনী মনোভাবের জন্য শত্রুতা।
(৬) শুক্র শত্রুভাবে থাকলে নারীসঙ্গ ও অপরের সঙ্গে অপ্রীতি শত্রুতা সৃষ্টি করে।
(৭) শনি শত্রুতাভাবে থাকলে শত্রুতার অবসান ঘটে, কিন্তু আধ্যাত্মিকতার কারণে শত্রুতার সৃষ্টি করেন।
(৮) রাহু শত্রুতার ক্ষেত্রে প্রেম ও অহংকার হেতু শত্রুতার সৃষ্টি করে।
(৯) কেতু শত্রুতার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র মনোবৃত্তির জন্য শত্রুতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাশিচক্রে গ্রহগত অবস্থান আবার মানুষকে শত্রুমুক্ত করে ও শত্রুজিৎ করে তোলে।
(ক) রাহু তুঙ্গস্থ শত্রুনাশক
(খ) মীনে চন্দ্র শত্রুজয়ী
(গ) লগ্নস্থ বৃহস্পতি ধনুতে অতীব শুভ
(ঘ) বৃহস্পতিতে শনির দৃষ্টি অতীব শুভ।
(ঙ) জন্মরাশি সকল গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হলে জাতক শত্রুজিৎ হবেই।