নিজস্ব প্রতিনিধি – ভারতে দৈনিক সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রোজ নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের কোঠায়। মৃত্যুও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। অনেকেই মনে করছেন, টিকাকরণের অগ্রগতির কারণেই কোভিড নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাহলে কি বলা যায়, ভারতে মহামারি শেষের পথে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু–র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন তেমনই ইঙ্গিত করলেন।তাঁর কথায়, ভারতে কোভিড এখন ‘এনডেমিক’ পর্যায়ে। সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। ‘এনডেমিক’ তখনই বলা হয়, যখন জনসংখ্যার বড় অংশ ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে শিখে ফেলে। মহামারির ক্ষেত্রে হয় ঠিক উল্টো। জনসংখ্যার বড় অংশ ভাইরাসের গ্রাসে চলে আসে।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বামীনাথন মনে করালেন, ভারতের ব্যপ্তি। মনে করালেন, এদেশের বিপুল জনসংখ্যা। তাঁর মতে, এসব কারণে ভারতের এক এক অংশে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক এক রকম। তাই ধরে নেয়া যেতে পারে, যে পরিস্থিতি এ রকমই চলবে। কখনও দেশের এক এক জায়গায় সংক্রমণ বাড়বে। কখনও কমবে। অর্থাৎ এই সংক্রমণের ওঠাপড়া লেগেই থাকবে।
যেমন এখন কেরলের অবস্থা। দেশে মোট সংক্রমণের অর্ধেক সেখানে। স্বামীনাথনের কথায়, ‘এখন আমরা আর আগের মতো সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখছি না। শিখরে পৌঁছনোর পরিস্থিতিও আসছে না।’ তাঁর মতে, প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেসব জায়গায় সংক্রমণ কম দেখা গিয়েছিল, যেখানে টিকাকরণের হার কম, সেখানে আগামী কয়েক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।