নিরঞ্জন দোলই – ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ এইরকমই এক মানসিকতা নিয়ে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত করলেন ‘মহসিন ফাউন্ডেশন’ এর কর্ণধার জনাব মহসিন খান। তাঁর ওই উদ্যোগ অসহায় পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছেন। যারপরনাই খুশি হন অসহায় পরিবারগুলি। ঐতিহ্যবাহী ওই ফাউন্ডেশনের কদর আজও জনমানসে বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। প্রতিবছরই যেকোনো সামাজিক কাজে ফাউন্ডেশনের পরিষেবা পেয়ে থাকে বাংলার মানুষ। আজ বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে ‘এর’ সুনামের অন্ত নেই।
গত বছর করোনা ভাইরাসের কোপে বিশ্ববাসী আক্রান্ত। আজ ভাইরাসের আক্রমণে মানুষ মৃত্যু বরণ করছে। এ বছরও পুনরায় ভাইরাসের তীব্রতা বহুগুণ বেড়েছে। মানুষ হারাচ্ছেন তাঁদের প্রীয় স্বজনদের। মানুষের কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। দুঃস্থ, অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যসরকার এমনকি বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সে আর কতটুকুই!
এইরকমই এক সন্ধিক্ষণে উলুবেড়িয়া থানার ধুলাসিমলা অঞ্চলের অন্তর্গত বাঁইখালি এলাকার মানুষের জন্য কলকাতার মহসিন ফাউন্ডেশন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন হাজারের বেশী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংস্থার কর্মকর্তারা পরিষেবা দিলেন। উপচে পড়া হতদরিদ্র পরিবারের মুখে ক্ষীণ হাসির রেখাপাত দেখা গেল খাদ্যসামগ্রী পেয়ে।
ওই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবী খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথী চিকিৎসক মেসবাউল ইসলাম বলেন কোভিডের গ্রাসে আজ বিশ্ববাসী দিশেহারা। পরিবারের মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এক কথায় বলা যায় মানুষ ভাইরাসের কোপে পড়ে পঙ্গু হয়ে পড়ছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করে চলেছেন। বেঁচে থাকতে হবে, নিজেকে এবং পবিবারকে বাঁচাতে হবে। সুস্থ্য থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন করোনাকে হার মানাবই।
মহসিন ফাউন্ডেশনের অন্যতম কান্ডারী সেখ নূর আলম সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যুক্ত থেকে মানুষকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে চলেছেন। গত রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তির জন্য ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয় রমজান মাস ব্যাপি। সমাজে এই ফাউন্ডেশনের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিটি সদস্য সর্বদাই সচেষ্ট। তিনি আরও বলেন এই ফাউন্ডেশনের কর্ণধার জনাব মহসিন খান একজন উদার মনের দিলখোলা মানুষ। যেকোনো অসহায় মানুষের খবর পেলেই ছুটে যান এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সেই কারণেই বাংলার বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠেছে ফাউন্ডেশনের কর্মবীরদের সামাজিক কর্মকান্ড।
ওই সুন্দর ঘনময় মূহুের্ত বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেখ মুকসেদুল, সেখ সাবির, সেখ আলম, সেখ জাকির, সেখ সমির, সেখ জাহাঙ্গির সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।