নিজস্ব প্রতিনিধি – দুর্গাপূজার জনসমাগম যেন করোনা বিস্তারের কারণ না হয়, সে জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ উপলক্ষে সচিবালয় নবান্ন গতকাল মঙ্গলবার ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। পূজার অনুমতি দেওয়া হলেও জারি হয়েছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ।  গত বছরের মতো এবারও বিসর্জনের দিনে প্রতিমা নিয়ে কলকাতা শহরে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পূজামণ্ডপ চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন করা যাবে না। উত্তর চব্বিশ পরগনার টাকি সীমান্তের ইছামতী নদীতে দুই বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে টাকিতে দুই বাংলার মানুষ নৌকায় করে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে এলেও এবার তাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। তবে দুই বাংলার মানুষ পৃথকভাবে প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারবে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, তিন দিক ফাঁকা রেখে মণ্ডপ তৈরি করতে হবে। আলাদা থাকবে মণ্ডপে ঢোকার ও বের হওয়ার পথ। ছোট পরিসরে প্রতিটি মণ্ডপে অঞ্জলি, সিঁদুর খেলা ও প্রসাদ বিতরণ করা যাবে। তবে পূজা উদ্‌যাপন কমিটির লোকজনসহ সবাইকে দূরত্ববিধি মানতে হবে। এ জন্য হাত জীবাণুমুক্তকরণ ও মাস্ক প্রদানের ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মণ্ডপের আশপাশে মেলা বা কোনো প্রদর্শনীর আয়োজন করা যাবে না।

পূজার অঞ্জলি দিতে চাইলে নিজেকেই ফুল ও বেলপাতা নিয়ে আসতে হবে। ভার্চ্যুয়ালি পূজার উদ্বোধনে জোর দেওয়া হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে রাখতে হবে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক। পূজার দায়িত্বে থাকা পুরোহিতের সামনে মাইক্রোফোন রাখতে হবে, যাতে তাঁর মন্ত্র উচারণ দূর থেকে শোনা যায়। আর এ সময় কাউকে পুরোহিতের কাছে আসতে দেওয়া যাবে না। নির্দেশনা মেনে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। ভিড় করা যাবে না।

Loading