নিজস্ব প্রতিনিধি – বিশ্ব ডিম দিবস ছিল গতকাল। দিবসটি প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার উদযাপিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতে ও দিবসটি পালিত হয়েছে। ডিম দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল– ‘প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই’। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন–ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। একইসঙ্গে ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা। সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরই বাড়ছে ডিমের উৎপাদন। বর্তমানে ভারত
ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯ সালে ভারতে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪.২৪ কোটি। ২০১৯-২০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১৭৩৬ কোটিতে দাঁড়ায়। অর্থাৎ ১০ বছরে দেশে ডিমের উৎপাদন প্রায় তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। জন প্রতি বছরে ১০৪ টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি পাওয়া ১০৪.২৩টি। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীস্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জন প্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০ মিলি, ১৫০ গ্রাম এবং ১৬৫ টি বছরে ধরা হয়েছে।
একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে। এ ছাড়াও ডিমে থাকা লিউটিন ও জেক্সানথিন চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।পাশাপাশি ডিমে থাকা ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে