নিজস্ব প্রতিনিধি – কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে  দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ জনজীবন। করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। এরমধ্যে রয়েছেন ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন তারা। চক্ষুলজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেননি তারা। কেউ কেউ চলে গেছেন গ্রামে। দীর্ঘ লকডাউনে সংসার চালাতে গিয়ে জমানো টাকা ও ব্যবসার পুঁজি খুঁইয়েছেন অধিকাংশই। আবার কেউ ধার-দেনা করে কোনোভাবে চালিয়েছেন সংসার। অনেকেরই বাকি বাসা ও দোকান ভাড়া। মত সন্তানের স্কুলের বেতন আটকে গেছে কারো কারো। এতে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।

তবে লকডাউনের মাঝে ব্যবসায়ীরা আর  বসে থাকতে না আস্তে আস্তে ব্যবসা শুরু করেছে। শহর ও জেলা শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে বসতে শুরু করেছে । স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে দোকান বসাতে শুরু করেছেন হকাররা। হাওড়ার ফুটপাত, কলকাতার বড়বাজারের  মার্কেট এর আশপাশ ঘুরে দেখো যায়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুটপাতের দোকানগুলো ভিড় জমাচ্ছেন। কেনাকাটা করছেন পছন্দের ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এসব ক্রেতাদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের। হাওড়ার বাগনান ফুটপাতের জুতার ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, তিনি ২৭ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে তিনি ভাল কেনাবেচা করতেন। কিন্তু করোনা তার ব্যবসার সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে বসে বসে পুঁজি ভেঙে খেয়েছেন। সংসার চালিয়েছেন। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর জমানো কিছু টাকা দিয়ে আবারও শুরু করেন ব্যবসা। বেচাকেনাও মোটামুটি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে তা বেশ বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আরও বাড়বে।

Loading