নিজস্ব প্রতিনিধি – চলমান মহামারী করোনায় লকডাউন পরিস্থিতি সবার মধ্যে এমন এক ধরণের আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে যে সবাই যেভাবে পারছেন ঘরে খাদ্যসামগ্রী মজুত করছেন বা করার চেষ্টা করছেন। যদিও, এখনও রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজেই মিলছে। তবুও বেশিরভাগ লোক ভয়ের চোটে এই কাজ করছেন। এবং তার জন্য প্রচুর খাবার জমাচ্ছেন ফ্রিজে। কিন্তু জানেন কি, শুকনো ফল, আইসক্রিম এবং মটরশুঁটি ছাড়া অন্য অনেক খাবার ফ্রিজে রাখা ভালো নয়? এগুলি বারেবারে ফ্রিজ থেকে বের করলে নষ্ট হয়ে যায় এদের খাদ্যগুণ।

এই ৭ খাবার ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়:

১. দুগ্ধজাত দ্রব্য

দুধ হল প্রথম জিনিস যা আমরা মজুত করতে চাই। কার্টনে দুধ রাখা যেতেই পারে ফ্রিজে। কিন্তু কার্টন খুললেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমনি পনিরও ক্রমাগত ফ্রিজে রাখলে আর বের করলে একসময় খাদ্যগুণ হারায়।

২. ভাজা পোড়া

আমরা ফ্রাই, পকোড়া এবং নাগেটসের মতো ভাজা খাবার পছন্দ করি। কিন্তু এই ভাজা খাবারগুলো ফ্রিজে রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। যা শরীরের পক্ষে বিষ। তাই ঘুরে ফিরে খেতে চাইলে গরমাগরম ভেজে খান।

৩. নুডলস

লকডাউনে নুডলস তৈরি করতে চান? রান্না করা বা না রান্না করা নুডলস এবং পাস্তা ফ্রিজে ভাল থাকে না। এটি ডিফ্রস্ট করার পরে মুশকিল হয়ে। আপনি অনেকগুলি প্যাকেট কিনে এমনিই রাখুন। ভালো থাকবে।

৪. শসা

বরফ ঠাণ্ডা শসার টুকরো কেবল চোখের জন্য ব্যবহার করুন। খাবার হিসেবে নয়। ঠাণ্ডা শসা ফ্রিজের বাইরে আনলেই স্বাদ বদলে যায়। এই শসার স্যালাড খাওয়া শরীরের জন্যও ঠিক নয়।

৫. ফল

কেবল শুকনো ফল ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করা নিরাপদ, তাজা ফল নয়। এগুলিকে হিমায়িত করার ফলে তাদের গঠন, স্বাদে পরিবর্তন আসে। পুষ্টির মান হ্রাস পায়।

৬. কফি

কফি বীজ বা গুঁড়ো ফ্রিজে রাখলেই তা ফ্রিজারের গন্ধ ধরে নেয়। স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে। স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কেবল কফি ব্যাগ বা প্যাকেট কয়েক সপ্তাহ ধরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

৭. টোম্যাটো সস

স্যান্ডউইচ, চিপস, স্ন্যাকস টম্যোটো সস ছাড়া খাওয়া যায়! তবে ভুলেও এটি ফ্রিজে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করবেন না। এটি ডিফ্রস্ট করার পরে টম্যাটো পেস্ট, জল এবং ভিনিগার আলাদা হয়ে যায়।

Loading