নিজস্ব প্রতিনিধি – জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা এই উপসর্গগুলো এখন চরম আতঙ্কের নাম। কিন্তু বর্তমান আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বেশির ভাগ মানুষকে দেখায় দেয় এই সমস্যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাল হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে করোনার কারণে তা মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি করছে।
ভাইরাল জ্বর কি?
জ্বর একটি অসুস্থতার চিহ্ন যাতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকে। সাধারণত, একটি জ্বর নির্দেশ দেয়ে যে শরীর একটি বাইরে থেকে প্রবেশ করা প্রাণির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। যখন এই বাইরে থেকে প্রবেশ করা প্রাণীটি একটি ভাইরাস, তখন এটিকে ভাইরাল ফিভার বলা হয়। অনেক ভাইরাল সংক্রমণ জ্বরের কারণ যেমন সাধারণ ঠান্ডা লাগা, ডেঙ্গু এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সংক্রমণ।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাল জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই সেরে যায়। খুব বেশি হলে সারতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে। আর এই জ্বরের পর শারীরিক দুর্বলতা সেরে উঠতে সময় লাগে কয়েকদিন।
ভাইরাল জ্বরের কয়েকটি সাধারণ উপসর্গ। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে করে। ও সামান্য সর্দি ভাব, কখনও কখনও আবার নাক দিয়ে জল পড়ে। এইসব কিছুর সঙ্গে হাঁচি এবং হালকা কাশিও থাকে। সারা গায়ে ব্যথা দেখা দেয়। এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন আক্রান্তদের থেকে দূরে থাকুন। যদি ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন তবে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। যাদের বিভিন্ন কঠিন রোগ যেমন- হার্টের সমস্যা, ফুসফুস, কিডনি বা লিভারের সমস্যা ও হাঁপানির সমস্যা আছে তারা এই সময়ে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন। বয়স্ক এবং প্রসূতিরাও নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন। সেই সঙ্গে নিজেরদের যত্ন নিন। ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন। হাত না ধুয়ে চোখে, নাকে এবং মুখে হাত দেবেন না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। নিজেরা পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি নিজের বাসস্থান ও তার চারিদিক পরিষ্কার রাখুন। ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে পরাশর্ম দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন- চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান এবং সঠিক চিকিৎসা করুন। দুর্বল ভাব দূর করার জন্য মাল্টি-ভিটামিন খান। সবসময় মাস্ক পরে থাকুন। হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করুন এবং টিস্যুটি ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন। দিনে তিন থেকে চার বার গরম জলের ভাপ নিন এবং কুলিকুচি করুন। হালকা ও স্যুপ জাতীয় তরল খাবার খান। জ্বর হলে নিজে আলাদা ঘরে থাকুন, বাড়ির অন্যান্য সদস্যের সংস্পর্শে আসবেন না।